ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৩০:১২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

গুগলকে টক্কর দিতে আধুনিক প্রযুক্তি আনছে মাইক্রোসফট

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৩ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

উদীয়মান প্রযুক্তি খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার দ্রুতগতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে আছে স্যানফ্রান্সিস্কো-ভিত্তিক এআই কোম্পানি ওপেনএআই’র নতুন চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটি’। আর তাতেই অর্থ লগ্নি করেছে মাইক্রোসফট।

চ্যাটবট এক ধরনের সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন, যা ব্যবহারকারীর বলা কথার ওপর ভিত্তি করে মানুষের সঙ্গে কথোপকথন চালানোর উদ্দেশ্যে তৈরি।

২০১৯ সালে মাইক্রোসফট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা ওপেনএআইয়ে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে। এর মাত্র সাত বছর আগে স্যাম অ্যাল্টম্যান, ইলন মাস্কসহ কয়েকজন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। প্রথমে কত অর্থ লগ্নি করেছিল, তা প্রকাশ করেনি মাইক্রোসফট। এমআইটি-টেক রিভিউ নামের একটি অনলাইন সাইটে ২০২০ সালে বলা হয়, মাইক্রোসফট ওপেনএআইয়ে নগদ অর্থ ও তাদের ক্লাউড ব্যবসা অ্যাজুরের সুবিধা মিলিয়ে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

এটি যেভাবে কাজ করে : ওপেনএআই বলছে, ‘রিইনফোর্সমেন্ট লার্নিং ফ্রম হিউম্যান ফিডব্যাক (আরএলএইচএফ)’ নামের এক মেশিন লার্নিং কৌশল ব্যবহার করে প্রশিক্ষিত হয়েছে চ্যাটজিপিটি মডেলটি, যা সংলাপ অনুকরণ, সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ভুল স্বীকার, ভুল অনুমান চ্যালেঞ্জ ও অনুপযুক্ত অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে। এর প্রাথমিক উন্নয়নের অংশ ছিল বিভিন্ন মানব এআই প্রশিক্ষক। মডেলকে কথপোকথন শেখানোর উদ্দেশ্যে তারা ব্যবহারকারী ও এআই সহকারী দুটো ভূমিকাতেই অভিনয় করতেন।

ব্যবহারকারীর করা বিভিন্ন প্রশ্ন বোঝার চেষ্টার পাশাপাশি কথোপকথনের একটি ফরম্যাটে মানব-লিখিত টেক্সটের সহায়তায় সর্বজনীন পরীক্ষার উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত এই বট সংস্করণ বিশ্লেষণধর্মী জবাব দেয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।


একে যে কাজে ব্যবহার করা যাবে : ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন কনটেন্ট তৈরি, বিভিন্ন গ্রাহক সেবায় প্রশ্নের জবাব দেওয়া এমনকি কোড ডিবাগের মতো বাস্তব জগতের অ্যাপ্লিকেশনেও ব্যবহার করা যেতে পারে চ্যাটজিপিটি’র মতো টুল। মানুষের কথা বলার ধরন অনুকরণের পাশাপাশি অনেক প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারে বটটি।

ওপেনএআই কোম্পানির মূল্যমান দাঁড়িয়েছে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। তবে সম্প্রতি চ্যাটজিপিটির মতো সেবা চালুর পর প্রতিষ্ঠানটির মূল্যমান আরও বেড়েছে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। তারা এখন আরও তহবিল সংগ্রহ করতে চায়। ইতোমধ্যে আরেক প্রযুক্তি উদ্যোক্তা পিটার থিয়েলের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান ফাউন্ডার্স ফান্ড এতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, মাইক্রোসফট শুরুতে যে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছিল, তা লাভ ছাড়াও আরও সুফল বয়ে আনতে পারে।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ইনফরমেশন বলছে, মাইক্রোসফট তাদের সার্চ ইঞ্জিন বিংয়ের সঙ্গে চ্যাটজিপিটি যুক্ত করতে পারে, যাতে তারা গুগল সার্চের সঙ্গে টক্কর দিতে সক্ষম হবে। এতে দুই দশক পর গুগলের সার্চ ইঞ্জিন প্রথম কোনো বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র : রয়টার্স