চুয়াডাঙ্গায় ফের শৈত্যপ্রবাহ, ফসলের ক্ষতির শঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:৪৪ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার
সংগৃহীত ছবি
চুয়াডাঙ্গায় তিন দিনের ব্যবধানে আবারও প্রকৃতিতে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে। হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ায় তীব্র শীতের অনুভূতি কয়েকগুন বেড়েছে। এতে স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) থেকে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) পর্যন্ত একটানা ৯ দিন শৈত্য প্রবাহ বিরাজ করে চুয়াডাঙ্গায়। এর মধ্যে তাপমাত্রার পারদ উঠানামা করে ৬ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতরে। এর পরের বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা চুয়াডাঙ্গার এই মৌসুমেরও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলয়িসায় রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। এর আগে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলয়িসায় রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮০ শতাংশ।
এদিকে তীব্র শীতে কৃষি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা ও আলুখেত রক্ষায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে ৩৬ হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ জন্য ১ হাজার ৯০৪ হেক্টর জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা কিছুটা ক্ষতি হলেও আগাম বোরো বীজতলা থাকাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সহজ হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। কৃষকদের ধানের বীজতলা রক্ষায় সকালে চারার ওপর থেকে শিশির সরিয়ে দেওয়া এবং চারা রাতের বেলায় ঢেকে দেওয়া পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বীজতলা লাল হয়ে গেলে জিপসাম ও ইউরিয়া সার দিতে বলা হচ্ছে।