নওগাঁয় শৈত্যপ্রবাহ, সর্বনিম্ন ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:৩৭ এএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার
সংগৃহীত ছবি
দেশের উত্তরের জেলা নওগাঁর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। গত কয়েকদিন থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর তাপমাত্রা কমে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলার বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ২ এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। গত তিনদিন ধরে তাপমাত্রা আট ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে অবস্থান করছে।
এদিকে, প্রচণ্ড শীতের কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। আর সকালে যাদের জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হয় তারা পড়েছেন বিপাকে। কর্মঘণ্টা কমে আসায় আয়-রোজগারও কমে এসেছে।
শহরের বরুণকান্দি মহল্লার শ্রমজীবী আতোয়ার বলেন, গত কয়েকদিন আগে বাতাস এবং কুয়াশায় প্রচুর শীত ছিল। এখন কুয়াশা কমে গেলেও শীত কমছে না। শীতে হাত-পা মনে হয় বরফ হয়ে আসছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এমন শীত দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, গরিব মানুষ, বাড়িতে বসে থাকলে তো আর হবে না। তাই চাদর গায়ে জড়িয়ে কাজে বেরিয়েছি।
সদরের বক্তারপুর গ্রামের জুয়েল বলেন, সন্ধ্যার পর বাতাস শুরু হয় যা সকাল ৮টা বা ৯টা পর্যন্ত চলে। এরপর সূর্য উঠলে কিছুটা স্বস্তি মেলে।
তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষদের জন্য খুবই সমস্যা। সকালে কাজ করতে না পারলে বেলা উঠলে কাজ শুরু হয়। আর এভাবে চলতে থাকলে সবার জন্যই সমস্যা।
বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের সহকারী আবহাওয়াবিদ মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ পর্যন্ত ৫০ হাজার ৫০০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তবে কিছু সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনও শীতবস্ত্র বিতরণ করছে।