অভিভাবক হিসেবে মায়ের স্বীকৃতি নিয়ে রায় ২৪ জানুয়ারি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:০২ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার
সংগৃহীত ছবি
শিক্ষার ক্ষেত্রে সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মা স্বীকৃতি পাবেন কি না, এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি নাইমা হায়দার বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দিন ঠিক করেন।
গত ১৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানি শেষ হয়। পরে আদালত ২৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দেয়।
আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আইনুননাহার সিদ্দিকা, অ্যাডভোকেট এস এম রেজাউল করিম ও অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
রিটের পক্ষের আইনজীবী আইনুননাহার সিদ্দিকা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মায়ের নামেও ফরম পূরণ করে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত রায়ের জন্য দিন ঠিক করে দিয়েছে।
রিট থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের এপ্রিলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগে শিক্ষার্থী তথ্য ফরমে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে বাবার নাম পূরণ করতে না পারার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী ঠাকুরগাঁও জেলার এক তরুণীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রবেশপত্র দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
পরবর্তীতে এ ঘটনার যথাযথ অনুসন্ধানের ওপর পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মায়ের স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠার দাবিতে ২০০৯ সালের ২ আগস্ট তিনটি মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং নারীপক্ষ যৌথভাবে জনস্বার্থে রিট করে। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩ আগস্ট বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহম্মেদ এবং বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মানবাধিকার, সমতার পরিপন্থী ও বিশেষভাবে শিক্ষার অধিকারে প্রবেশগম্যতার বাধাস্বরূপ বিদ্যমান বৈষম্যমূলক এ বিধানকে কেন আইনের পরিপন্থী এবং অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না-মর্মে রুল জারি করেন।
একইসঙ্গে, বর্তমানে কোন কোন শিক্ষা বোর্ডে এস এসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বাবা ও মা উভয়ের নাম সম্পর্কিত তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে উল্লেখ করতে হয় তার একটি তালিকা এবং যে সব যোগ্য শিক্ষার্থী তাদের বাবার পরিচয় উল্লেখ করতে অপারগ তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সে সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়।
পরে ২০২১ সালের ৬ জুন ব্লাস্ট আবেদনকারীদের পক্ষে একটি সম্পূরক হলফনামা আদালতে দাখিল করে।