নতুন আঙ্গিকে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার
সংগৃহীত ছবি
ভাষার মাস যত এগিয়ে আসে অমর একুশে বইমেলার রঙটাও গাঢ় হয় তত। আর মাত্র কদিন বাকি চলছে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলা হলেও পরিবর্তন এসেছে সার্বিক বিন্যাসে।
শুরু হয়ে গেছে তোড়জোড়, উদ্যানজুড়ে এখন শুধুই কাজের ব্যস্ততা। কদিন বাদেই যে একুশে বইমেলা। পুরোনো বিন্যাসকে ভেঙে এবারের বইমেলা হবে নতুন আঙ্গিকে। পরিসর যদিও কমেনি তবে বদল এসেছে স্টল, প্যাভিলিয়নসহ অন্যান্য সেবার বিন্যাসে।
প্রকাশনার সব স্টল থাকবে স্বাধীনতা স্তম্ভের সামনে থেকে উদ্যানের পশ্চিম অংশে। আর পূর্ব প্রান্তে থাকবে অন্যান্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।
একুশে বইমেলার সদস্য সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, এবার মেলার যে প্রান্তেই রোর কাছে দাঁড়াননা কেনো, শেষ মাথায় কি হচ্ছে এটি দেখা যাবে। বিশেষ করে মোড়ক উন্মোচন। আবার যদি আরেকটা পাশ থেকে তাকান তাহলে লেখক বলছি মঞ্চটা দেখা যাচ্ছে।
এছাড়া মেট্রোরেলের কাজ চলমান থাকায় পরিবর্তন এসেছে মূল প্রবেশদ্বারেও।
ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, গতবারের যে মূল প্রবেশ পথটি ছিল সেটি কিন্তু এবার একটু পরিবর্তন হচ্ছে। বাংলা একাডেমির সম্মুখে মন্দিরের যে গেটটি রয়েছে সেটি আসলে আমাদের মূল প্রবেশ পথ।
অমর একুশে বইমেলার সদস্য সচিব বলেন, আঙ্গিকের ভিন্নতার কারণে এবার কমবে নতুন প্রকাশনীর সংখ্যা। থাকবে প্রযুক্তির সংযুক্তিও।
একুশে বইমেলার সদস্য সচিব আরও বলেন, এবার আমরা যে কাজটি করছি সেটি হচ্ছে, আমরা এলইডির মাঝখানে খনে খনে মেলার যে ম্যাপ স্টল নাম্বারসহ সেটি দেখাব।
এছাড়া বটবৃক্ষের ছায়া পেরিয়ে এবার শিশু চত্ত্বর ঠাঁই করে নিয়েছে মূল ফটকের পাশেই। পাশাপাশি বেশ কয়েক বছর পর শিশুদের জন্য এবার আবারও শুরু হবে গান, কবিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, আগে অভিযোগ ছিল যে ওই জায়গাটায় বাচ্চা যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করত না। এই আঙ্গিকে আমরা এবার তাদেরকে মেলার গেট দিয়ে ঢুকেই ডান দিকের যে অংশটা রয়েছে সে অংশটির পুরোটিকেই আমরা নাম দিয়েছি শেখ রাসেল শিশু চত্বর।
করোনার কারণে গেল দু’বছর ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা শুরু না হলেও এবার হচ্ছে। তবে লেখক-প্রকাশক আর পাঠকের ভিড়ে নিয়ম মানার সচেতনতাও চাইছে বাংলা একাডেমি।