ঢাকা, শুক্রবার ২৯, নভেম্বর ২০২৪ ০:৩৫:৫৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বুশরাকে দায়মুক্তি দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৩২ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর বিষয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে যাচ্ছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। প্রতিবেদনে ফারদিনের মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী না করার পাশাপাশি মামলায় গ্রেপ্তার বুশরাকেও অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়ে ইতোমধ্যেই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন তদন্তকারীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিবেদনে ফারদিনের আত্মহত্যার বিষয়টি তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন সাপেক্ষে বর্ণনা করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের মতিঝিল জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. রাজীব আল মাসুদ বলেন, শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ, নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার লক্ষ্যে শেষ মুহূর্তে সব তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে নেয়া হচ্ছে।

এদিকে ফারদিনকে বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো বা বিষাক্ত কিছু পুশ করা হয়েছিল কিনা- সেই ‘ভিসেরা’ পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ল্যাবরেটরি (পরীক্ষাগার) থেকে তদন্তকারী সংস্থা ডিবি পুলিশের হাতে এসেছে। তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে ভিসেরা রিপোর্ট আদালতে দাখিল করবে ডিবি পুলিশ।

ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (রামপুরা থানা) এসআই সেলিম রেজা বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মজিবুর রহমান প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এদিন আদালতে হাজিরা দেন এ মামলায় জামিন পাওয়া আসামি আমাতুল্লাহ বুশরা। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।

এর আগে ৮ জানুয়ারি ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তার বান্ধবী বুশরার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজ হন ফারদিন। এরপর তার বাবা রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিন দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় ১০ নভেম্বর বুশরার নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে আসামি করে তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন রানা মামলা দায়ের করেন।

ফারদিন নূর পরশ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবেরও যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন তিনি। তিন ভাইয়ের মধ্যে ফারদিন সবার বড়। তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়নের নয়ামাটি এলাকায়। তবে গত দুবছর ধরে তারা সপরিবারে রাজধানীর ডেমরা থানার শান্তিবাগ কোনাপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন রানা একটি ইংরেজি পত্রিকায় সাংবাদিকতা করছেন।