খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন পাপড়ি রহমান-ধ্রুব এষ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৫১ এএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার
সংগৃহীত ছবি
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার নেত্রকোনা প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন কথা সাহিত্যিক পাপড়ি রহমান ও প্রচ্ছদশিল্পী ও শিশু সাহিত্যিক ধ্রুব এষ।
রোববার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরান।
নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজ ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতিবছর পহেলা ফাল্গুন নেত্রকোনার পাবলিক লাইব্রেরীর বকুলতলা চত্তরে বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব ও কথা সাহিত্যিক খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরষ্কার প্রদান করে আসছে।
উৎসবে প্রতিবছর বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ দেশ বরেণ্য একজন লেখক, কবি, সাহিত্যিককে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী পহেলা ফাল্গুন ২৬তম বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব ও খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরষ্কার প্রদান করা হবে।
নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজ পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এবার বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদান রাখায় প্রচ্ছদ শিল্পী ও শিশু সাহিত্যিক ধ্রুব এষ এবং কথা সাহিত্যিক পাপড়ি রহমানকে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার-১৪২৯ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ধ্রুব এষ প্রচ্ছদ শিল্পী ছাড়াও কবিতা, শিশু সাহিত্য ও গল্পে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন। পারি পাতার গাড়ি, সূর্য মামার বাচ্চাদের গল্প, ঠিক দুক্কুর বেলা, ভূতপুর, রাফখাতা তাঁর উল্লেখযোগ্য শিশু সাহিত্য।
আর কথা সাহিত্যিক পাপড়ি রহমানের অষ্টরম্ভা, ধূলিচিত্রিত দৃশ্যাবলি, পোড়া নদীর স্বপ্নপূরণ, বয়ন, পালাটিয়া উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।
নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজের কবি তানভীর জাহান চৌধুরী জানান, বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসবে এর আগে ২৭ জন কবি-সাহিত্যিককে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
তারা হচ্ছেন- অধ্যাপক যতীন সরকার, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, কবীর চৌধুরী, কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ, কবি নির্মলেন্দু গুণ, রাহাত খান, হেলাল হাফিজ, রফিক আজাদ, বুলবন ওসমান, মহাদেব সাহা, জাফর ইকবাল, নাসরিন জাহান, আবু হাসান শাহরিয়ার, সেলিনা হোসেন, সেলিম আল দীন, আলতাফ হোসাইন, আনিসুল হক, জাকির তালুকদার, মোহাম্মদ রফিক, মোহাম্মদ নুরুল হক, আসাদ চৌধুরী, সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, খালেদ মতিন (মরণোত্তর), রফিকউল্লাহ খান, মারুফুল ইসলাম, কামাল চৌধুরী, শামসুজ্জামান খান (মরণোত্তর) ও শামীম রেজা।