বইমেলায় শিশুদের অন্যরকম এক সকাল
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:২৬ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার
সংগৃহীত ছবি
বাবা-মায়ের হাত ধরে সকাল সকাল বইমেলায় হাজির আরা জারিন তালুকদার। সে মণিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। জারিন জানায়, বইমেলায় এসে খুব ভালো লাগছে। কয়েকটি বইও কিনলাম।
ধানমন্ডির নালন্দা স্কুলের অঙ্কুর ক্লাসের শিক্ষার্থী বর্ণিতা বড়ুয়া স্পর্ধাও এসেছে বাবা-মায়ের সঙ্গে বইমেলায়। শিশু চত্বরে কথা হলে স্পর্ধা জানায়, অনেকক্ষণ খেলা করলাম। খুব ভালো লেগেছে।
তার মা জয়া বড়ুয়া বলেন, ‘বই ও শিশু চত্বরে সিসিমপুরের সঙ্গে আমার মেয়েকে পরিচিত করতেই মেলায় নিয়ে এসেছি। শিশু চত্বরের এ আয়োজন শিশুদের মেধা বিকাশ ও প্রতিভা বিকশিত করতে সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি। এ আয়োজন শুধু মেলাকেন্দ্রিক না করে স্কুলে স্কুলে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।’
বইমেলায় শিশুপ্রহরে সিসিমপুরের আয়োজনে শিশুরা
জারিন-স্পর্ধার মতো আরও শত শত শিশু বইমেলার শিশুপ্রহরে এসেছে বাবা-মা কিংবা অভিভাবকদের হাত ধরে। শিশু চত্বরে দুরন্ত শিশুদের অনন্ত উপস্থিতি করে তুলেছে অন্যরকম এক আনন্দঘন পরিবেশ।
শিশু চত্বরে খেলাধুলা শেষে তারা বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে বইয়ের পাতা উল্টিয়ে খুঁজে নেয় নিজেদের পছন্দের বই।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ছিল বইমেলার ১৭তম দিন । বেলা ১১টা থেকে শিশু-কিশোররা অভিভাবকদের সঙ্গে লাইন ধরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ গেটে।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ছোটদের মজার মজার সব বইয়ের স্টল এবং বিনোদন কেন্দ্র নিয়ে সাজানো হয়েছে শিশুচত্বর। শিশুচত্বরে প্রবেশ করলেই মনে হবে এ যেন কোনো শিশুরাজ্য। যেখানে শিশু-কিশোরদের রাজত্ব। এখানে রয়েছে শিশু-কিশোরদের সায়েন্স ফিকশন, ভূতের গল্প, কৌতুক, ছড়াসহ নানান ধরনের সব বই।
শিশুপ্রহরে শিশু-কিশোরদের বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে সিসিমপুর স্টল। যেখানে বাচ্চাদের জন্য আকর্ষণীয় সব মজার মজার বই সাজানো রয়েছে। একই সঙ্গে শিশুচত্বরে সিসিমপুরের প্রিয় চরিত্রগুলোর সঙ্গেও সময় পার করে আনন্দিত শিশুরা। পাশে দাঁড়িয়ে সেই আনন্দ উপভোগ করেন অভিভাবকরাও।
ঘাসফড়িং প্রকাশনীর প্রকাশক শ্যামল কুমার দাস বলেন, ‘শিশুদের জন্য আমাদের প্রকাশনীর অনেক বই আছে। সব বই ভালো বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে আনিসুল হক ও আহসান হাবীবের বইয়ের চাহিদা বেশি।’
টুনটুনি প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী তাহমিনা আক্তার শান্তা জানান, সব বই বিক্রি হচ্ছে। তবে বিজ্ঞানবিষয়ক বই একটু বেশি বিক্রি হচ্ছে।
সিসিমপুরের সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘প্রতি শুক্র ও শনিবার সিসিমপুরের এ আয়োজন মেলার শেষ শনিবার পর্যন্ত থাকবে। শিশুদের আনন্দ দিতেই আমাদের এ আয়োজন।’