ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, নভেম্বর ২০২৪ ২৩:৫২:২৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

নাসির-তামিমার বিচার চলবে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২৪ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

অন্যের স্ত্রী থাকা অবস্থায় অবৈধ বিয়ে ও ব্যভিচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও সৌদিয়া এয়ারলাইনসের বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মির বিচার চলবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তামিমার মা সুমি আক্তারকে এ মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুর্শিদ আহাম্মেদ এ আদেশ দেন।

গত ৩১ জানুয়ারি এ মামলায় বাদী ও বিবাদী পক্ষের পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন একই আদালত।

ওই দিন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, নাসির-তামিমার বিচার শুরুর আদেশের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের রিভিশন আবেদন এবং সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষের রিভিশন আবেদনের শুনানি শেষে আদেশের জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত। একই সঙ্গে তামিমার মা সুমি আক্তারকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।


২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা সুলতানা তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে মামলা করেন। আগের বিয়ে গোপন করে অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়ায় মানহানির অভিযোগ আনা হয় নাসিরের বিরুদ্ধে।

রাকিব হাসান জানান, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে জানেন।

মামলায় আরও বলা হয়, তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার শিশুকন্যা মানসিক বিপর্যস্ত। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক শেখ মো. মিজানুর রহমান।