বেইলি রোডের বাহারি ইফতার, দাম বেশ ভিড়ও বেশি
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৮:৩৯ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার
সংগৃহীত ছবি
রমজানের দ্বিতীয় শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডে জমে উঠেছে ইফতার বাজার। সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় শতাধিক আইটেমের ইফতার কিনতে স্থানীয় ক্রেতাদের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মানুষও এখানে ভিড় করছেন।
অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন। তবে, অভিযোগের সুরে ক্রেতারা বলছেন, রাজধানীর অন্যান্য এলাকার তুলনায় এখানকার ইফতার সামগ্রীর ভিন্নতা থাকলেও দাম তুলনামূলক বেশি।
বেইলি রোডে বেশ কয়েকটি দোকানে ইফতার বিক্রি হলেও মূলত নবাবি ভোজ, পিঠা ঘর অ্যান্ড জ্যাগরি রেস্টুরেন্ট ও ক্যাপিটাল ইফতার বাজারে বিক্রি হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন আইটেমের ইফতার। ভিন্নতা থাকায় এসব দোকানে ক্রেতাদের ভিড়ও বেশি।
ক্রেতাদের পাশাপাশি ভেজাল খাদ্য রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতেরও এখানে অভিযান পরিচালনা করতে দেখা গেছে।
দোকানিরা বলছেন, সাধারণত বিকেল সাড়ে ৩টার পর এখানে বেচাবিক্রি শুরু হয়। আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় ৩টার পর থেকেই ক্রেতারা ভিড় করতে শুরু করেছেন। আশপাশের ক্রেতাদের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ এখানে ছুটে আসছেন। কারণ, এখানকার ইফতারের আলাদা একটা সুনাম রয়েছে।
মূলত স্বাদ, মান ও ভিন্নতার কারণে বেইলি রোডের ইফতারের কদর রাজধানীজুড়ে। গত কয়েক বছর করোনা মহামারির কারণে এখানকার ইফতার বাজারের আইটেম কম ছিল। এবার পুরানো রূপে ফিরে এসেছে বেইলি রোডের ইফতার বাজার।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, এখানে প্রায় শতাধিক আইটেমের ইফতার মিলছে। ছোলা, বুট থেকে শুরু করে মগজ ভুনা, খাসির হালিম, খাসির গ্রিল, গরুর চপ, গরুর স্বামী কাবাব, মাটন লেগ রোস্ট, জালি কাবাব, শিক কাবাব, রেশমি কাবাব, সুতি কাবাব, ভেজিটেবল রোল, স্প্রিং রোল, বাসমতির জর্দা, চাটনি, পনির সমুচা, নিমকি পোড়া, বুন্দিয়া, হালিম, দই বড়া, কিমা পরোটা, কাশ্মীরি পরোটাসহ হরেক রকমের জিলাপি পাওয়া যাচ্ছে। কাবাব আইটেমের পাশাপাশি হরেক রকমের নান ও পরোটা বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। এক-একটি ইফতারের আইটেম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১৫০০ টাকায়।
ক্যাপিটাল ইফতার বাজারের বিক্রয়কর্মী আরিফ মাহমুদ বলেন, অন্য দিনের চাইতে আজ বিক্রি বেশি। কারণ, ছুটির দিনে সবাই পরিবার নিয়ে ইফতার করবেন। এ কারণে হরেক রকমের ইফতার ক্রয় করছেন তারা।
‘ছুটির দিন হওয়ায় আজ রাস্তায় যানজটও কম। ফলে, আশপাশের ক্রেতাদের পাশাপাশি রাজধানীর অন্যান্য এলাকার মানুষও এখানে ইফতার কিনতে আসছেন। পুরান ঢাকার কিছু মানুষও এখান থেকে ইফতার ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন।’
নবাবি ভোজের বিক্রয়কর্মী আরিফুল হক বলেন, আমাদের এখানে মাটনের ছোট-বড় বেশ কয়েকটি আইটেম পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোর ওপর ক্রেতাদের বেশ কদর রয়েছে। এছাড়া স্পেশাল তেহারি, বিরিয়ানি রয়েছে। যেগুলো শুধু রমজান উপলক্ষ্যে তৈরি করা হয়। এছাড়া কয়েক রকমের কাবাব, নান, পরোটা, জিলাপি, চিকেন আইটেমের পাশাপাশি হালিমও রয়েছে।
নবাব ভোজের আরেক বিক্রয়কর্মী আব্দুল হালিম জানান, তাদের এখানে শাহি ছোলা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩০০ টাকায়, পেঁয়াজু, বেগুনি, সবজি পাকুড়া বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিচ ১৫ টাকায়, সুইট লাচ্ছি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়, পেস্তা বাদামের শরবত বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। মাটন লেগ রোস্ট বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ টাকায়।