ঢাকা, সোমবার ১৮, নভেম্বর ২০২৪ ১৮:০০:২২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ঈদ কেনাকাটার আগাম অনুসঙ্গ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০৪:০৭ পিএম, ১৭ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:৫২ এএম, ১৮ মে ২০১৮ শুক্রবার

আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হবে পবিত্র মাহে রমজান। ব্যস্ততা বেড়ে যাচ্ছে নারীদের। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে ঈদ কেনাকাটা। রোজার মধ্যে অফিস টাইম কমলেও বাসায় অনেকেরই কাজ থাকে। আর গরমে রোজা থাকলে অনেকেই দূর্বল হয়ে পড়ে। তাই ভালোভাবে কেনাকাটার জন্য খুব কম সময়ই পাওয়া যায়। এই সময়ে নিজের রুচি এবং পছন্দসই কেনাকাটা একটু কঠিন হয়ে পড়ে। এর অন্যতম কারণই হলো প্রচুর ভিড়। রোজার সময় যে কোন মার্কেটে গেলে সেখানে ভিড়ে পা ফেলার জো থাকে না। তারপরও কেনাকাটা করতেই হবে। আর কিনতে হবে সবার পছন্দমতোই। তাই প্রথম থেকেই ছুটির দিনগুলোতে একটু একটু করে কেনাকাটা করলে কাজ অনেকটাই হালকা হয়ে যায়।

এক্ষেত্রে ঈদে কেনাকাটার প্রয়োজনীয় কিছু টিপস দেওয়া হল, যা এবারের রোজার ঈদে কিছুটা হলেও আপনাকে দু:শ্চিন্তামুক্ত করবে। 

 

রোজার শুরুতেই কেনাকাটা শেষ করুন : রোজার প্রথম দিকেই কেনাকাটার কাজ সেরে ফেলুন। কারণ দিন যত গড়াবে অন্যান্য মার্কেটগুলোতে ভিড়ও বাড়বে। ফলে নিজের পছন্দসই জিনিস কিনতে তখন অনেকটাই বেগ পেতে হবে। অনেক সময় যে পোশাকের ট্রেন্ডের চাহিদা বেশি থাকে তার স্টক ফুরিয়ে যেতে পারে যা পরবর্তীতে আপনার আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কাজেই সময় থাকতে আগেই কেনাকাটার কাজ সেরে ফেলুন।

 

শপিংয়ের জন্য সঠিক পোশাক নির্বাচন করুন : এ গরমে শপিংয়ের জন্য অযথা সাজগোজ না করে বরং স্বাভাবিক পোশাক পরুন। হালকা সুতির পোশাক এ সময় শপিংয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি আরামদায়ক। হাই হিল পরবেন না একদমই। ফø্যাট জুতা-স্যান্ডেলই শপিংয়ের জন্য বেশি উপযোগী। বাইরে বৃষ্টি হতে পারে তাই সঙ্গে ছাতা রাখুন।

 

তালিকা করুন : কেনাকাটায় যাওয়ার আগেই প্রথমেই তালিকা করুন। কী কী কিনবেন,কোথা থেকে কিনবেন সবটারই একটা সম্যক তালিকা করে নিন। এতে আপনি মার্কেটে গিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন না। বিভিন্ন জায়গা থেকে কিনলে ভিন্ন ভিন্ন দিনে যাওয়ার প্ল্যান করুন। একই দিনে দুটি জায়গায় যাওয়ার পরিকল্পনা না করাই ভালো। এতে সব কাজ গুছিয়ে যেমন করা যাবে করা যাবে তেমনি কষ্টও কম হবে।

 

বাজেট ঠিক করুন : তালিকা তৈরির পাশাপাশি সম্ভব হলে কোন খাতে কত খরচ করবেন তাও ছোট করে লিখে ফেলুন। কারণ বাজারে হরেক দামের জিনিস আছে। আর সবার সাধ্য একই রকম নয়। তাই বাজেট ঠিক থাকলে মার্কেটে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবেনা। কারণ চাহিদা,পছন্দ আর বাজেট তিনটির মধ্যে অবশ্যই সমন্বয় থাকা জরুরী। মার্কেটে আগে বাজেট না করে সব ধরনের জামা পছন্দ করলে যেমন সময়ের অপচয় হয় তেমনি তাতে কেনাকাটাতেও অসুবিধা হবে।

 

সঠিক সময় নির্বাচন করুন : ভাল জিনিস কিনতে চাইলে শপিংয়ের জন্য একটি উপযুক্ত সময় বেছে নিন। আর অবশ্যই হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে বের হবেন। তাড়াহুড়ো করতে গেলে কোনো কাজই ঠিকমতো করা যায় না। তাই এমন একটা সময় বেছে নিন যা আপনার জন্য উপযুক্ত। এক্ষেত্রে ইফতারের আগে অনেকেরই তাড়া থাকে। তাই ইফতারের আগে না গিয়ে ইফতারের পরে কেনাকাটায় বের হওয়াই সবদিক থেকে ভালো।

 

কেনাকাটায় অভিজ্ঞ কাউকে সঙ্গে নিন : কেনাকাটায় যাওয়ার সময় পরিবারের কাউকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলে ভালো হয়। আপনার আশেপাশে এমন অনেক ফ্যাশনিস্তা আছে যারা সময় পেলেই মার্কেটে ঘুরে বেড়ায়,সমসাময়িক স্টাইগুলোর ব্যাপারে তাদের অগাধ জ্ঞান। তাদের সঙ্গে নিলে আপনার কোন কিছুই চিন্তা করতে হবে না। আপনি শুধু পছন্দ করবেন আর কিনবেন। এতে শপিং করার সময় বিরক্তি চলে যাওয়ার পাশাপাশি কেনাকোটা করতে আলাদা এক ধরনের মজা পাবেন।

 

দলবেধেঁ কেনাকাটা করতে যাবেন না : অনেকগুলো মানুষ একসঙ্গে মার্কেটে গেলে স্বভাবতই দেরি হয়। আর সবাই হরেকরকম কেনাকাটা করলে নিজের সঠিক পছন্দের ঠাহর পাওয়া যায় না। কাজেই শপিংয়ে একসঙ্গে অনেকের না যাওয়াই ভালো। তাতে নিজের পছন্দেও নির্বচনে তাড়াহুড়া করতে হয় না।

 

সিএনজি, উবার বা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করুন : ঈদের কেনাকাটার জন্য অতিরিক্ত সময় ,উটকো ঝামেলা,যানযট থেকে বাঁচতে প্রাইভেট কার , সিএনজি ,উবার ব্যবহার করুন। কারণ এ সময় রাস্তাঘাটে অনাকাঙ্খিত যানযট লেগেই থাকে। আর রমযান মাসে বাসের মধ্যে ওঠার মত অবস্থা থাকে না। তাই একটু টাকা খরচ হলেও নিরাপদে,স্বচ্ছন্দে চলাচল করুন।

 

ছোট বাচ্চা থাকলে বাসায় রাখুন : ঈদের কেনাকাটায় ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করেই করতে হয়। কোথাও কম,কোথাও বেশি। ঘরের প্রিয় বাচ্চাটিও মার্কেটে যাবার বাইনা ধরে। বাধ্য হয়েই তাকে নিয়ে সবাই বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু এরকম কাজ না করাই ভাল। কারণ একে তো মার্কেটে উপচে পড়া ভীড়,তার উপর আবার বাচ্চাকে সামলানো অত্যন্ত কঠিন। হঠাৎ করে বাচ্চা দৌড়ে অন্যত্র চলে যেতে পারে। তাই শুধু শুধু ঝুঁকি নিয়ে কি লাভ? আদরের বাচ্চাকে বাসায় রেখে নিজেই পছন্দ করে জামাটা বাসায় কিনে নিয়ে সারপ্রাইজ দিলে কিন্তু মন্দ হয় না।

 

বিভিন্ন মার্কেটে যান : নিউমার্কেট ও গাউছিয়াতে প্রায় সব ধরণের জিনিস পাওয়া যায়। এর পাশাপশি অন্যান্য মার্কেটেও ঘুরুন। কোনো শপিং মল থেকেই কেনাকাটা সেরে ফেলুন। শপিং মলে সব ধরনের ব্রান্ডের জিনিস পাবেন। এতে করে কষ্ট কম হবে এবং খুব কম সময়েই নিজের পছন্দমত শপিং সেরে ফেলতে পারবেন।

 

ভিড়ের মধ্যে সাবধানতা থাকুন : ভিড়ের মধ্যে কেনাকাটায় সাবধাণতা অবলম্বন করুন। ভ্যানিটি ব্যাগ ও পকেট সামলে রাখুন। কারণ ঈদের আগে মার্কেটে পকেটমারের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। তাই অযাচিত ঝামেলা এড়াতে চোককান খোলা রাখুন।

 

বিলের কাগজ ও কুপন সংরক্ষণ করুন : কেনাকাটা শেষে বিল দেবার পর বিলের তালিকার সাথে জিনিসের সংখ্যা মিলিয়ে নিন, এতে ভুল হবার সম্ভাবনা থাকে না। বিলের রসিদ ফেলে না দিয়ে কিছুদিন রেখে দিন। হঠাৎ কোনো জিনিস বদলানোর সময় কাজে লাগবে। প্রতিবারই বড় শপিংমলগুলো ঈদের কেনাকাটায় পুরস্কার ঘোষণা করে। এক্ষেত্রে কুপন সংরক্ষণ করুন। বলা যায় না, ভাগ্য ভাল থাকলে হয়ত কিছু পেয়েও যেতে পারেন।