ঢাকা, শনিবার ১৬, নভেম্বর ২০২৪ ৬:৪৬:৩২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

মা-বাবা হারিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে ‘সম্রাট’

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:০৭ পিএম, ৭ এপ্রিল ২০২৩ শুক্রবার

সিংহ ‘সম্রাট’

সিংহ ‘সম্রাট’

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বার্ধক্যজনিত ও নানা রোগে এক বছরে পাঁচটি সিংহের মধ্যে চারটি মারা গেছে। বর্তমানে বেঁচে আছে ‘সম্রাট’ নামের এক সিংহ। মা-বাবাকে হারিয়ে বর্তমানে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে এই ‘সম্রাট’।

সম্প্রতি গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক থেকে আরও দুটি সিংহী আনা হয়েছে। বর্তমানে পার্কে একটি সিংহ ও দুটি সিংহী রয়েছে। তবে সিংহ সম্রাট বাবা-মা হারিয়ে নিভৃতে দিন কাটাচ্ছে।

সাফারি পার্ক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাফারি পার্কে চারটি সিংহ মারা গেছে। বার্ধক্যজনিত রোগে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি মারা যায় ২২ বছর বয়সী সিংহ 'সোহেল'। আহত হয়ে গত বছরের ২২ এপ্রিল মারা যায়  সিংহী 'নদী'। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি মারা যায় ১৬ বছর বয়সী সিংহ 'রাসেল'। এই সিংহটি এনাপ্লাজমা ও বিউবমিয়া স্পিসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। একই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি মারা যায় সিংহী 'টুম্পা'।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ২০০৫ সালে পার্কে সোহেল ও হীরাকে আনা হয়। এদের ঘরে জন্ম নেয় নদী ও রাসেল। এদের ঘরে জন্ম নেয় সম্রাট নামের এক সিংহ। পরবর্তীতে বার্ধক্যজনিত ও বিভিন্ন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক বছরে চারটি সিংহ মারা যায়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে গাজীপুরস্থ শেখ মুজিব সাফারি পার্ক থেকে আরও দুটি সিংহী আনা হয়। সব মিলে বর্তমানে পার্কে তিনটি সিংহ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই তিনটি সিংহকে সপ্তাহে ছয়দিন এক বেলা গরুর মাংস দেওয়া হয়। প্রতিটি সিংহের জন্য ৬ কেজি করে গরুর মাংস বরাদ্দ রয়েছে। যা তাদের বিকেলের দিকে বেষ্টনীতে খাবার হিসেবে দেওয়া হয়। সিংহদের শরীরে যাতে চর্বি না জমে, সেজন্য প্রতি মঙ্গলবার তাদের কোনো খাবার দেওয়া হয় না। পুরুষ আর মহিলা সিংহদের আলাদা বেষ্টনীতে রাখা হয়েছে।