ঢাকা, শুক্রবার ২৭, ডিসেম্বর ২০২৪ ৯:২০:৪৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

গরমে দিনে মার্কেট ফাঁকা, রাতে বাড়ছে বেচাকেনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:৩৬ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২৩ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ঈদকে সামনে রেখে সীমান্ত শহর যশোরের শার্শা, নাভারন বেনাপোল ও বাগআঁচড়া বাজারে জমজমাট হয়ে উঠেছে বেচাকেনা। পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ মার্কেটে ছুটছে অনেকে। তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে দিনে মার্কেট কিছুটা ফাঁকা থাকলেও সন্ধ্যার পরই জমজমাটভাবে চলছে বেচাকেনা। 

বস্ত্র ও কসমেটিকসের বেচাকেনা ভাল বলে জানান বিক্রেতা। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার ভারতীয় বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ী, থ্রিপিস লেহেঙ্গা, পাজ্ঞাবির বেচাকেনা বাড়ছে দিনদিন।

এদিকে আতর, সুরমা, টুপির বিক্রিও বাড়ছে কয়েকগুন। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ বেশি দামেই সব ধরনের পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। 
আসফিয়া সুলতানা ও সেলিম হোসেন বলেন, পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ কেনাকেটা কারতে মার্কেটে এসেছেন তারা। তবে বস্ত্র কসমেটিকক্সের দাম দ্বিগুন হওয়ায় অল্প মার্কেট করেই বাড়ি ফিরছেন তারা। 

ব্যবসায়ী নেতা রুমু হোসেন ও ইমরুল হোসেন বলেন, এবার দেশের সব মোকামে পণ্যের দাম বেশি সে কারণেই বেশি দামে ঈদের কেনাকাটা করতে হচ্ছে তাদের। ফলে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটছে। তবে এবার ভালো কালেকশান এসেছেন বলে জানান ব্যাবসায়ীরা। 

ভারতীয় চুমকি, আফরোজা ও বিভিন্ন কোম্পানীর মেহেদীর চাহিদা বেশি। তবে এবার গহনার বাজারে ক্রেতা কম। কাঠের জিনিষপত্রের চাহিদা বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতা আলী হোসেন।

সীমান্ত এলাকার শ্রমিকেরা জানান, ঈদের কেনাকাটা করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। তারপরও বেশি দামেই পরিবার পরিজনের খুশি করতে করছেন ঈদের বাজার। পাজ্ঞাবি ও থ্রিপিসের বিক্রি বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতারা।

বেনাপোল বাজার কমিটির সম্পাদক বজলুর রহমান জানান, বাজার মনিটরিং করতে প্রশাসনের সাথে কাজ করছেন তারা। নিরাপত্তাসহ ভেজাল রোধ ও দাম সহনশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সীমান্ত এলাকার বস্ত্র বিপনী বিতানগুলো সেজেছে নানান সাজে। জমজমাট হয়ে উঠেছে ঈদ বাজার। বাহারি রং আর বিভিন্ন ডিজাইনের দেশী-বিদেশী পোশাকের দোকানে ভীড় বাড়ছে মানুষের।  

তবে মাঝে মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান পরিচালনাসহ কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল।