ঢাকা, শনিবার ১৬, নভেম্বর ২০২৪ ৩:৩০:৫২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন

অনু সরকার

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৪৯ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২৩ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীসহ সারাদেশে তাপদাহে পুড়ছে মানুষ। প্রায় সপ্তাহখানেকের টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনে যাদের কাজ ঘরের বাইরে, তাদের যেন একবারেই জবুথবু অবস্থা। 

তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন।  গরমে হাঁসফাঁস অবস্থায় স্বস্তি মিলছে না বৈদ্যুতিক পাখার বাতাসেও। গরমে ঘুমের বিঘ্ন ঘটছে অনেকের। রমজান মাস হওয়ায় রোজাদারদের কষ্টটাও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। আগামী চার-পাঁচদিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার কোনো পূর্বাভাস দিতে পারেনি আবহাওয়া বিভাগ।

সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাপপ্রবাহের কারণে তাদের আয়-উপার্জনেও পড়ে ভাটা। বিশেষ করে শ্রমিক, দিনমজুর মানুষের ঘরের বাইরে বের হয়ে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এরপরও খেটে খাওয়া মানুষজন জীবিকার তাগিদে ও জরুরি প্রয়োজনে তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অনেক পথচারী ছাতা মাথায় দিয়ে চলাচল করছেন।

অন্য বছরগুলোতে যদিও মাঝে মধ্যে সামান্য বৃষ্টি ও বৈশাখী ঝড়ের দেখা মেলে। এবার এখনও তেমন ঝড়-বৃষ্টির দেখা মেলেনি।

দেশে টানা কয়েকদিন যাবৎ চলা অসহনীয় তাপপ্রবাহের মধ্যে নববর্ষের প্রথম দিনে আরও অধিক তেজ দেখিয়েছে সূর্য। যদিও চলতি মৌসুমের উষ্ণতম দিন ছিল সোমবার (১৭ এপ্রিল)। এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে দিবাগত রাতে সামান্য বাতাস যেন এই তাপপ্রবাহকে কিছুটা হলেও শক্তিহীন করেছে।

তাপপ্রবাহে অনেকের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, আগামী কয়েক দিনে গরমের এই দশা থেকে মিলবে না মুক্তি। তাপদাহের এই সময়ে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

তাপদাহে বেশি কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালক ও কৃষকরা। ফেটে চৌচির ফসলি ক্ষেত। ঝরে পড়ছে আম-লিচুর মুকুল। এমন পরিস্থিতিকে ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া’ ঘোষণা করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এছাড়াও কয়েকদিনের টানা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে শিশু-কিশোররা খুঁজে বেড়াচ্ছেন নদী-নালা, খাল-বিল ও ডোবার পানি। সকাল থেকে শিশু-কিশোররা দলবেঁধে সাঁতার কাটতে চলে আসছে। শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানিতে সাঁতার কাটতে দেখা যায় তাদের।