ঢাকা, শুক্রবার ২৭, ডিসেম্বর ২০২৪ ৮:৫৯:২২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

সাশ্রয়ী দামে ঈদের কেনাকাটায় আরএস শপিং কমপ্লেক্স

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৩২ এএম, ১৯ এপ্রিল ২০২৩ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ার আরএস শপিং কমপ্লেক্স আশপাশের এলাকার মানুষের পছন্দের কেনাকাটার ঠিকানা। আধুনিক সুবিধা সম্বলিত এ শপিংমলে এরই মধ্যে ক্রেতাদের ঢল নামতে শুরু করেছে। বৈচিত্র্যময় আধুনিক পোশাকের সমারোহ, সাশ্রয়ী দামের কারণে এ এলাকার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে এ বিপণি কেন্দ্রটি।

ভবনের চারতলা পর্যন্ত মার্কেট। এটি এ অঞ্চলের সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একমাত্র মার্কেট। এ শপিংমলে রয়েছে চলন্ত সিঁড়ি। এ অঞ্চলের মানুষের কাছে মার্কেটটি বসুন্ধরা সিটির মতো।

আশপাশের গোবিন্দপুর, মাতুয়াইল, শেখদী, জনতাবাগ, রায়েরবাগ, রসুলপুর, কাজলা, মেরাজনগর, পাটেরবাগ এলাকার মানুষ এ শপিংমলে কেনাকাটা করতে আসেন।

ঈদকে সামনে রেখে এরই মধ্যে শপিং কমপ্লেক্সটি জমে উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর গিয়ে দেখা গেছে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ক্রেতাদের ভিড়। বিক্রিও ভালো বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে, কোনো কোনো দোকানদার জানিয়েছেন, ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও বিক্রি কম।

মাতুয়াইল দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা আয়েশা আক্তার বলেন, আরএস মার্কেটে ভালো মানসম্পন্ন পোশাক পাওয়া যায়। দামও মোটামুটি সহনীয়। তাই ঈদে-চান্দে আমরা এ মার্কেট থেকেই কেনাকাটা করি। আমি মেয়ের জন্য একটা সারারা (জামা) কিনলাম। জামাটির দাম পড়েছে আড়াই হাজার টাকা। আরও কিছু কেনাকাটা করবো ঈদের দু-একদিন আগে, আজ দেখে গেলাম।

পপি আক্তার বলেন, আমরা ৫ বছরের ছেলের জন্য ৪০০ টাকায় একটি গেঞ্জি সেট, ৪০০ টাকায় পাঞ্জাবি ও ৫০০ টাকায় জুতা কিনলাম। দাম মোটামুটি আয়ত্তের মধ্যেই। আরামদায়ক পরিবেশে কেনাকাটর জন্য এ অঞ্চলে এমন আর কোনো মার্কেট নেই।

ইসমাইল হোসেন ৪০০ টাকায় একটি লুঙ্গি কিনেছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে লুঙ্গি বিক্রির অনেকগুলো দোকান আছে। দাম-দর করে কিনা যায়।পরিবেশটাও ভালো।’

মার্কেটের নিচ তলায় রয়েছে কসমেটিকস, ব্যাগ, জুতা, খেলনা, ক্রোকারিজের দোকান। দ্বিতীয় তলায় পোশাকের দোকান। এসব দোকানে থ্রি-পিস, শাড়ি, পাঞ্জাবি, বিছানার চাদর, পর্দা, লুঙ্গি, শিশুদের পোশাক বিক্রি করা হয়। তৃতীয় তলায়ও রয়েছে পোশাকের দোকান। এরমধ্যে ছোটদের পোশাক, পুরুষের জামা ও প্যান্ট এবং মেয়েদের পোশাকের দোকানই বেশি। চতুর্থ তলায় মোবাইল ফোন ও ফোনের সরঞ্জাম বিক্রির দোকান। এ ফ্লোরের দক্ষিণপাশে রয়েছে গহনা জোন। জুয়েলারি দোকানগুলো রয়েছে এখানে।