তীব্র গরমে হিটস্ট্রোক এড়াতে ডায়েটে রাখুন ৫ খাবার
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:৫৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২৩ সোমবার
সংগৃহীত ছবি
প্রচণ্ড দাবদাহে সংজ্ঞা হারানো, বুক ধড়ফড় করা, নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা এমনকি হিট স্ট্রোকের মতো বিপত্তিতেও পড়তে পারেন আপনি।
পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে এই সব সমস্যার সূত্রপাত হয় শরীরে পানির ঘাটতির কারণে। নিঃশ্বাস, ঘাম, প্রস্রাবের মতো নানা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় প্রতিনিয়ত যে পানি বেরিয়ে যায়, তা পূরণ হয় খাদ্য-পানীয়ের মাধ্যমে। যখন শরীরে এই পানির জোগান কম পড়ে, তখনই শুরু হয় ডিহাইড্রেশনের সমস্যা। তা ছাড়াও গরমে ঘাম হলে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ঘাটতি হয়। সেই থেকেও হতে পারে বিপত্তি। এ ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় বেশ কিছু জিনিস রাখতে পারলেই শরীরে পানির ঘাটতি মিটবে, শরীর ঠান্ডা থাকবে আর দেহে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রাও বজায় থাকবে।
কী কী পাতে পড়লে গরমে শরীর সুস্থ থাকবে?
১) কাঁচা আম: গরমে খাদ্যতালিকায় আম রাখলে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বার করে দিতে সাহায্য করে। আম শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে দারুণ উপকারী। গরমের দিনে এই ফল খেলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এই সময়ে লবণ দিয়ে কাঁচা আম খেতে পারেন। তা ছাড়া কাঁচা আমপোড়া শরবত কিংবা কাঁচা আমের চাটনিও শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
২) ডাবের পানি: গরম থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় হয় ডাবের পানি। এতে পেট ঠান্ডা থাকে। সঙ্গে থাকে বেশ কিছু পুষ্টিগুণও। ডাবের পানি শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে। গ্রীষ্মের দিনে ডাবের পানি খেলে তাই শরীর চাঙ্গা থাকে।
৩) লাউ: লাউও শরীরকে ঠান্ডা রাখতে বেশ উপকারী। তবে রান্না করা লাউয়ের তুলনায় কাঁচা লাউয়ের রসের উপকারিতা অনেক বেশি। দিনের যে কোনও সময় লাউয়ের রসে সামান্য লবণ আর লেবুর রস দিয়ে খেয়ে ফেলুন। এই পানীয় শরীরকে বেশ ঠান্ডা রাখে, শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে।
৪) টক দই: গরমকালে খাওয়ার পাতে টক দই অবশ্যই রাখতে হবে। ভাত দিয়ে হোক বা ফল দিয়ে। কিংবা শুধুই। তবে দইয়ের ঘোল কিংবা লস্যি বানিয়ে খেলে শরীরে পানিও ঢুকবে। ফলে হজমও ভাল হবে, আর শরীরে পানির চাহিদাও মিটবে।
৫) অঙ্কুরিত মুগ ডাল: অফিসে কাজের মাঝে খিদে পেলেই আমরা ভাজাভুজি খেয়ে ফেলি। এর ফলে শরীরে পানির ঘাটতি আরও বেড়ে যেতে পারে। গরমের দিনে বিকেলে খিদে পেলে অঙ্কুরিত মুগ ডালের সালাড বানিয়ে খেতে পারেন। এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম। তাই শরীরে তাপমাত্রা বাড়ে না। পেট ঠান্ডা থাকে, শরীরে সোডিয়াম আর পটাশিয়ামের মাত্রাও বজায় থাকে।