কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দশনার্থীদের ভিড়
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:৩৬ এএম, ২৭ এপ্রিল ২০২৩ বৃহস্পতিবার
সংগৃহীত ছবি
কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। গ্রীষ্মের তাপকে উপেক্ষা করে ঈদের আনন্দে উদ্বেলিত ভ্রমণ পিপাসুরা ভিড় জমিয়েছে জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
ঈদের দিন থেকে শুরু করে বুধবার চতুর্থ দিনেও জেলার প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে দর্শণার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের পদচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানগুলো।
কুমিল্লা প্রত্নতাত্ত্বিক অফিস সূত্রে জানা যায়, বিগত দিনের সকল রেকর্ড অতিক্রম করে শুধুমাত্র ঈদের দিন (শনিবার) একদিনের সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড অর্জন করেছে কুমিল্লার প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন শালবন বিহার।
সরেজমিনে কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে সব বয়সীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলো। ঈদের ছুটিতে আনন্দে মেতেছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ। বিনোদনে একাকার হয়ে গেছে ধনী-গরীবের ভেদাভেদ।
ঈদের এ ভ্রমণের স্মৃতি ধারণ করতে কেউবা নিজ মোবাইল ক্যামেরায় সেলফি তুলছে আবার কেউবা পরিবার পরিজন নিয়ে ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি হচ্ছে। আবার অনেক সমবয়সীরা একত্রিত হয়ে গানের আড্ডায় মত্ত। এর মধ্যে প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন শালবন বিহার, জাদুঘর, কোটালিমুড়া, রূপনমুড়া।
সরকারি ওই বিনোদন কেন্দ্রের পাশাপাশি কোটবাড়ি এলাকায় বেসরকারি বা ব্যক্তি মালিকানা উদ্যোগে গড়ে উঠা ম্যাজিক প্যারাডাইস, কোটবাড়ির ডাইনোসর পার্ক, ব্লু ওয়াটার পার্ক।
এছাড়া শহরের বাহিরে ময়নামতি সেনানিবাস এলাকার রূপসাগর, ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি, গোমতি নদীর পাড়ে পালপাড়া ব্রীজ এলাকা, লালমাই লেক লেন, নূরজাহান পার্ক, সদর দক্ষিণের লালবাগ এলাকার ইকোপার্কেও ছিল হাজার হাজার দর্শনার্থীদের পদচারণা। ম্যাজিক প্যারাডাইসে ঘুরতে আসা দাউদকান্দির তাহমিনা আক্তার বাসসকে বলেন, স্বামী-সন্তান নিয়ে ঘুরতে আসলাম। ভালো লেগেছে।
শালবন বিহারে ভ্রমণে আসা আমির হোসেন বলেন, ঈদের আনন্দে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। যে কারণে কোন ভাবেই এই সুযোগ মিস করিনি। প্রাণের টানে ছুটে এসেছি শাহবন বিহারে।
এদিকে ঈদকে ঘিরে প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারী। এতে খুশি ভ্রমণ পিপাসুরা।
প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর কুমিল্লা জোনের আঞ্চলিক পরিচালক একেএম সাইফুর রহমান বলেন, সাধারণত ঈদের দিন আমাদের প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শণগুলো বন্ধ থাকে। কিন্তু এবছর আমরা ভ্রমণ পিপাসুদের কথা চিন্তা করে শুধুমাত্র শালবন বিহারটি খোলা রেখেছিলাম। আর ওইদিন ৩ লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা শালবন বিহারের ইতিহাসে একদিনের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
তিনি আরও বলেন, রাজস্বের হিসেব ছাড়াও শিশু ও সুবিধা সঞ্চিতদের কোন টিকেট না থাকায় দর্শণার্থীর সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। এখন গড়ে প্রতিদিন ১৫ হাজারেরও বেশি দর্শণার্থী ভিড় জমাচ্ছে।