ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, নভেম্বর ২০২৪ ২১:৪৬:৩৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

সন্তান হত্যায় মায়ের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:২৬ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২৩ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

নিজ শিশুকন্যাকে হত্যার দায়ে মাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক। রোববার দুপুর ১টায় কিশোরগঞ্জের নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ জনাকীর্ণ আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মা মো. আছমা আক্তার (৩৬) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের পূর্বচরপাড়া গ্রামের মো. সুরুজ মিয়ার মেয়ে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এম এ আফজল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে নাটোরের আশরাফ উদ্দীন নামে একজনকে নিজের পছন্দে বিয়ে করেন আছমা আক্তার। বিয়ের দুই বছর পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ২০১৩ সালে রাজধানীর মহাখালীতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্বামী আশরাফের মৃত্যু হয়। এমন পরিস্থিতিতে শিশুকন্যা শিউলী আক্তারকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন আছমা। ২০১৭ সালে বাবার বাড়িতে অবস্থানের সময় গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর এলাকার আবদুল কাদের নামে একজনের সঙ্গে নতুন করে বিয়ে হয়।

বিয়ের পর স্বামী কাদের প্রায়ই তার শ্বশুরবাড়িতে আসতেন। ২-৩ দিন থেকে আবার চলে যেতেন। মাঝে-মধ্যে আছমাও তার মেয়েকে নিয়ে কাদেরের বাড়িতে বেড়াতে যেতেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হলে স্বামী কাদের শ্বশুরবাড়িতে আসা বন্ধ করে দেন। কিন্তু আছমা ঠিকই কাদেরের বাসায় আসা-যাওয়া অব্যাহত রাখেন। একদিন সেখান থেকে এসে হঠাৎ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাবার্তা কমিয়ে দিয়ে আনমনা সময় কাটাচ্ছিলেন।

২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তার ভাইয়ের শাশুড়ি তাদের বাড়িতে আসেন এবং একপর্যায়ে ঘরে ঢুকতে চাইলে বাধা দেন আছমা। এ নিয়েও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। পরদিন সকালে তার ১০ বছর বয়সি মেয়ে শিউলী আক্তারকে স্কুল থেকে ডেকে এনে জোরপূর্বক ইঁদুর মারার একটি ট্যাবলেট খাওয়ান। এ সময় তার মা মনোয়ারা বেগম বাধা দিলে তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে, টেলিফোনের তার পেঁচিয়ে মেয়ে শিউলীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় এদিন রাতেই শিউলীর নানা সুরুজ মিয়া বাদী হয়ে মেয়ে আছমাকে একমাত্র আসামি করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

২০২০ সালের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান তদন্ত শেষে আছমাকে একমাত্র আসামি হিসেবে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।