নেত্রকোনায় স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৯:৫৯ পিএম, ২ মে ২০২৩ মঙ্গলবার
সংগৃহীত ছবি
নেত্রকোনার বারহাট্টায় এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে মুক্তি রানী বর্মণ নামে এক স্কুলছাত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার উপজেলার প্রেমনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই স্কুলছাত্রী উপজেলার প্রেমনগর গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে। সে প্রেমনগর-ছালিপুরা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। অভিযুক্ত যুবকের নাম কাউছার (২১)। তিনি একই গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে।
নিহতের ভাই লিটন বর্মণ জানান, মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে বাড়ির পাশে দা দিয়ে মুক্তি বর্মণকে (১৬) কোপাতে শুরু করে ওই যুবক। এ সময় মুক্তির চিৎকারে লোকজন এসে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তির মৃত্যু হয়।
বড় বোন রুজিনা রানী বর্মণ জানান, ‘কাউছার এলাকার চিহ্নিত বখাটে। সে মুক্তিকে সব সময় উত্ত্যক্ত করত। আগে আমাকেও উত্ত্যক্ত করত কাউছার। তার হুমকির কারণে পঞ্চম শ্রেণি পাশের পর আমি এলাকা ছেড়ে নেত্রকোনায় গিয়ে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হই।’
তিনি আরও বলেন, ‘উত্ত্যক্তের বিষয়ে আমি কাউছারের বাবা শামছুর রহমানের কাছে বিচার দিয়েছি। কাজ হয় নাই। আমি চলে যাওয়ার পর আমার বোনকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। বোনটা প্রতিদিন ভয়ে ভয়ে ক্লাসে যেত। কথা না শোনায় কাউছার আমার বোনটারে খুন করছে। আমি এর বিচার চাই।’
নিহতের সহপাঠী স্বর্ণা রানী বর্মণসহ কয়েকজন জানান, মঙ্গলবার বেলা ২ টার দিকে স্কুল থেকে আমরা এক সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে কাউছার এসে দা দিয়ে মুক্তিকে কোপাতে শুরু করে। আমরা ভয় পেয়ে যাই। চিৎকারে লোকজন এসে মুক্তিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বারহাট্টা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে নেত্রকোনায় পাঠানো হয়।
বাউশী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ওই এলাকার বাসিন্দা মোবারক মিয়া জানান, প্রেমনগর-ছালিপুড়া ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত যেতেই বখাটে কাউছার মিয়া অতর্কিতভাবে প্রকাশ্যে মুক্তি রানী বর্মণকে কোপাতে শুরু করে। ঘটনা দেখে লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে সে পালিয়ে যায়।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে কাউছার ও তার পরিবারের লোকজন পলিয়ে গেছেন।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন কুমার সাহা বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। মরদেহ নেত্রকোনা হাসপাতালে আছে। অভিযুক্ত কাউছারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন ‘ধারণা করা হচ্ছে-এ ঘটনার পেছনে প্রেম সংক্রান্ত কোনো কারণ থাকতে পারে। এ বিষয়ে অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’