সার্বিয়ায় সহপাঠীদের তালিকা করে স্কুলে বন্দুক হামলা, নিহত ৯
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৫২ এএম, ৪ মে ২০২৩ বৃহস্পতিবার
সংগৃহীত ছবি
সার্বিয়ার একটি স্কুলে বন্দুক হামলা চালিয়ে ৮ সহপাঠী ও ১ নিরাপত্তারক্ষীকে হত্যা করেছে এক স্কুলছাত্র। এ ঘটনায় আরও ৬ শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষক আহত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে বাবার দুটি বন্দুক নিয়ে এই হামলা চালিয়েছে ১৩ বছর বয়সী ওই অভিযুক্ত। কোন কোন শিক্ষার্থীকে হত্যা করবে এমন একটি তালিকাও ছিল অভিযুক্তের কাছে।
খবর বিবিসির।
বুধবার ইউরোপের দেশ সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের ভ্লাদিস্লাভ রিবনিকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ। হামলা কারণ জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।
বিবিসি জানিয়েছে, অভিযুক্ত তার বাবার দুটি বন্দুক নিয়ে এ হামলা চালায়। তার কাছে দুটি পেট্রোলবোমা ছিল বলে জানা গেছে। হামলার আগে তার বাবার সঙ্গে একাধীকবার শুটিং রেঞ্জে গিয়েছে ১৩ বছর বয়সী ওই অভিযুক্ত।
বেলগ্রেড পুলিশ প্রধান ভেসেলিন মিলিক জানান, হামলার সময় ওই অভিযুক্তের কাছে দুটি পেট্রোলবোমা ও দুটি বন্দুক ছিল। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ প্রধান বলেন, কোন কোন সহপাঠীকে হত্যা করা হবে এমন একটি তালিকাও ছিল অভিযুক্তের কাছে।
তিনি আরও জানান, হামলার আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছে ওই অভিযুক্ত। হামলার আগে তার আঁকা ড্রইং দেখতে অনেকটা ভিডিও গেম বা ভৌতিক সিনেমার মত। এটা আমাদের পরিস্কার ইঙ্গিত দেয় যে হামলার আগেই সে বিস্তারিত পরিকল্পনা করেছিল। ক্লাস থেকে ক্লাস, রুম থেকে রুম কীভাবে যাবে, কোন ক্লাসরুমে কীভাবে ঢুকবে, কার পড়ে কাকে হত্যা করা হবে এসব।
আলজাজিরাকে ওই স্কুলের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রথমে আমি ভেবেছিলাম কেউ হয়তো বারান্দায় বাজি পোড়াচ্ছে, ব্যাপারটা গুরুতর নয়। এর একটু পর আমি এক নিরাপত্তাকর্মীকে ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখি। আমি দৌড়ে গিয়ে শিক্ষকদের জানাই ওপরতলায় গোলাগুলি হচ্ছে। এরপর দৌড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাই আমরা। তখন আরও গুলির শব্দ শুনতে পাই।
দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুকিক বলেছেন, এই হামলা আমাদের দেশের সাম্প্রতিক ইসিহাসে সবচেয়ে কঠিন দিন। তিনি বলেন, অভিযুক্তকে মানসিক ক্লিনিকে পাঠানো হবে। অভিযুক্তের বয়স ১৪ বছরের কম হওয়ায় দেশটির বর্তমান আইনে তাকে অপরাধী আইনে বিচারের মুখোমুখি করার সুযোগ নেই।
প্রেসিডেন্ট ভুকিক অপরাধী আইনে বিচারের বয়স ১২ তে নামিয়ে আনার সুপারিশ করেন। একইসঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নিরীক্ষা এবং শুটিং রেঞ্জে কে প্রশিক্ষণ নিতে পারে সেই আইনও কঠিন করার সুপারিশ করেন তিনি।
নিহতদের মধ্যে ৭ মেয়ে ও এক ছেলে শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে। হামলায় আহত হয়েছে ৬ শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষক। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সার্বিয়ায় স্কুলে বন্দুক হামলা খুব একটা ঘটে না। এমন ভয়াবহ হামলায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে সার্বিয়াসহ বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলোতে।
সিএনএস ডটকম//এসএল//
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//