পুলিৎজার পুরস্কার পেল এপি, নিউইয়র্ক টাইমস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৯:৫৫ এএম, ৯ মে ২০২৩ মঙ্গলবার
সংগৃহীত ছবি
চলতি বছরের পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ নিয়ে খবরাখবর তুলে ধরায় দুই সংবাদমাধ্যমকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৮ মে) পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়। পুলিৎজারে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার পাবলিক সার্ভিস (জনসেবা) অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে এপি। এছাড়াও ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি বিভাগে পুরস্কারও পেয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।
পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া এপির সাংবাদিকরা হলেন- মিসতিসলাভ চেরনভ, ইভজেনি মালোলেতকা, ভাসিলিসা স্তেপানেঙ্কো ও লরি হিনান্ট। গত বছর ইউক্রেনের মারিউপোল শহরে রাশিয়ার হামলার সময় সেখানে অবস্থান করছিলেন তারা। হামলায় শহরটিতে বেসামরিক লোকজনের নিহত হওয়ার তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন এই চার সাংবাদিক।
ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং (আন্তর্জাতিক বিষয়ে প্রতিবেদন) বিভাগে সেরা হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। এছাড়াও ইলাস্ট্রেটেড রিপোর্টিং অ্যান্ড কমেন্টারি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এ নিয়ে পুলিৎজারের ইতিহাসে মোট ১৩৭টি পুরস্কার পেলো এই সংবাদমাধ্যম।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করে এবার ন্যাশনাল রিপোর্টিং (জাতীয় বিষয়ে প্রতিবেদন) বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদক ক্যারোলিন কিচেনার। সংবাদমাধ্যমটির হয়ে ফিচার রাইটিং বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন এলি স্যাসলো। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্ক টাইমসে কাজ করছেন।
লোকাল রিপোর্টিং (স্থানীয় বিষয়ে প্রতিবেদন) ও কমেন্টারি (মতামত)-দুটি বিভাগে পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে আলাবামা অঙ্গরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএল ডটকম। সংবাদমাধ্যম লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসও দুটি পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে। একটি ব্রেকিং নিউজ বিভাগে, অপরটি ফিচার ফটোগ্রাফি বিভাগে।
ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং (অনুসন্ধানী প্রতিবেদন) বিভাগে পুলিৎজার পেয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
পুলিৎজার পুরস্কার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছাপার সাংবাদিকতা, সাহিত্য এবং সঙ্গীতের সর্বোচ্চ পুরস্কার হিসেবে বহুল সমাদৃত। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পর্যায়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুলিৎজার পুরস্কার সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ হিসেবে খ্যাত। নিউইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এর প্রশাসকের ভূমিকা পালন করে। ১৯১৭ সাল থেকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।