ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬, নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৪০:৩৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

‘মোখা’ তাণ্ডবে তলিয়ে যাবে সেন্টমার্টিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৩৯ পিএম, ১৩ মে ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড় মোখা ছয় ঘণ্টা তাণ্ডব চালাবে। তলিয়ে যাবে পুরো দ্বীপ। ইতোমধ্যে ১০ ফুট উচ্চতার জোয়ার শুরু হয়েছে। এতে করে জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  
আবহাওয়াবিদদের তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় মোখা সরাসরি আঘাত হানবে  সেন্টমার্টিন উপকূলে। দ্বীপটিতে ভয়ঙ্করভাবে তাণ্ডব চালাবে মোখা। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ওই এলাকার ৫ লাখ মানুষ।  


আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষদের জীবন হুমকির সম্মুখীন। যারা সেন্টমার্টিন দ্বীপ ত্যাগ করতে পারেননি (ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও) সেসব মানুষকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে উদ্ধার করা প্রয়োজন। ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রথম আঘাত করবে সেন্টমার্টিনে।

৮ কিলোমিটারের দ্বীপ সেন্টমার্টিন। টেকনাফ থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মিয়ানমার উপকূল হতে আট কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। এ দ্বীপে জোয়ারের সময় তলিয়ে যায় এবং ভাটার সময় জেগে ওঠে।


সেন্টমার্টিন দ্বীপ সমতল ও সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় উচ্চতা থেকে ৩ দশমিক ৬ মিটার ওপরে। মূল ভূখ- ও দ্বীপের মধ্যবর্তী নয় দশমিক ৬৬ কিলোমিটার প্রশস্ত প্রণালি দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমের উন্মুক্ত সাগরের তুলনায় অনেক অগভীর। মূল দ্বীপ ছাড়াও এখানে ১০০ থেকে ৫০০ বর্গমিটার আয়তন বিশিষ্ট কয়েকটি ক্ষুদ্র দ্বীপ রয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক বিজ্ঞানী ড. আব্দুল মান্নান বলেন, মোখার প্রভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পানির নিচে চলে যাবে, এটা নিশ্চিত। মোখা উপকূলে আসার সঙ্গে সঙ্গেই জলোচ্ছ্বাস শুরু হবে। জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস মিলিয়ে ২০ থেকে ২২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আর সেন্টমার্টিনে এ উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হলে পুরো দ্বীপটি পানির নিচে তলিয়ে যাবে।’

আবহাওয়াবিদ আরও বলেন, ‘তবে, ঘূর্ণিঝড় সেন্টমার্টিনের ওপর দিয়ে গেলেও দ্বীপটিতে কিছু সুবিধা আছে। কারণ, আমরা এখন পর্যন্ত যেভাবে দেখছি তাতে ঘূর্ণিঝড়ের বাম পাশে পড়ে যায় সেন্টমার্টিন। এছাড়া, সেন্টমার্টিনে তলিয়ে গেলেও কিন্তু পানি বের হয়ে যাবে।

‘তবে, মিয়ানমার উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা অনেক বেশি হবে। কারণ, মিয়ানমার ঘূর্ণিঝড় মোখার ডান পাশে হওয়াতে এর ওপর প্রভাবটা বেশি হবে। বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়গুলো ডান পাশে বেশি প্রভাব বিস্তার করে। সেক্ষেত্রে মিয়ানমারের তুলনায় বাংলাদেশে কিছুটা কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।