জাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আটক ২
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৪১ এএম, ১৫ মে ২০২৩ সোমবার
সংগৃহীত ছবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৪ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলামনগর এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, রাকিব হোসেন (২৮) ও মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ (২৮)। রাকিবের বাড়ি ঢাকায়। তার বাবার নাম মো. শাজাহান মিয়া। অপরজন মেজবাহ উদ্দিনের বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়। তার বাবার নাম মোফাজ্জেল হোসেন খান।
শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রাকিব ও মেজবাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৪২ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাইমুল আলম মিশুর অতিথি। মিশুর মাধ্যমে অভিযুক্তদের ভুক্তভোগীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে রোববার (১৪ মে) রাতে মিশুসহ অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর বাড়িতে অবস্থান করে। ঐ দিন মিশু ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করে। সে সময় অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর বাসায় অবস্থান করছিলো। এই সুযোগে তারা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা করে বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, অভিযুক্তরা আমার ক্যাম্পাসের বড় ভাইয়ের বন্ধু। তার মাধ্যমে আমার তাদের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাদের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা ও আলাপচারিতার মাধ্যমে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। গত শুক্রবার তারা মিশু ভাইসহ আমার বাড়িতে থাকে। রোববার মিশু ভাই ক্যাম্পাসে ছিলো না। তারা রান্না করে আমার সঙ্গে খেতে চেয়েছিলো বলে তাদের আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। রান্নার মাধামাঝি সময়ে আমি অসুস্থতার কারণে রেস্ট নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। আমার ঘুম ভাঙার পর রাকিবকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে সেখান থেকে উঠে যাই। পরবর্তীতে আমি তাদের দুজনকে আমার বাসা থেকে বের করে দিয়ে ফটকের সামনে আটকে রাখি এবং আমার বন্ধুদের ফোন দেই। বন্ধুরা এসে অভিযুক্তদের ধরে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা খন্দকার বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৫৪ ধারায় মামলা করা হবে। পরবর্তীতে অভিযোগ প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের শাস্তি প্রদান করবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবাল বলেন, ঘটনার খবর শুনতে পেয়ে আমি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরে অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দেই। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।