ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ১২:৩৮:০৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ইফতারিতে খেজুর খান

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০৫:৪৩ পিএম, ২৩ মে ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০২:৩৩ পিএম, ২৪ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার

রমজান মাসে সেহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লী। ইফতারে খাওয়া হয় ভাজাপোড়া। আর সেহরির তাড়াহুড়ায় তেমন খাওয়ার ফুসরতই মেলে না। ফলে শরীরে পুষ্টির অভাব হয়ে যায়। এই অভাব দূর করার জন্য অসাধারণ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধি একটি খাবার হল খেজুর। জেনে নিন সুস্বাদু খেজুরের গুণ সম্পর্কে।

 

হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় : প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকার কারণে নিয়মিত এই ফলটি খেলে এটি হজমে সহায়তা করে। কারণ খুব সহজেই হজম হয় খেজুর। তাই সারাদিন রোজা রাখার পর খালি পেটে খেজুর খেলেও হজমজনিত সমস্যা হয় না। এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমানোর পাশাপাশি বদ-হজম, কোলাইটিস এবং হেমোরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

 

কর্মশক্তি বেড়ে যায় : নিমিষেই সারা দিনের ক্লান্তি,অবসাদ দূর করে চাঙা করে দিতে পারে খেজুর। খেজুরে প্রচুর শর্করা থাকায় দ্রুত কর্মশক্তি বেড়ে যায়।

 

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায় : খেজুরে তো পুষ্টি আছেই, তবে এটা খাওয়ার পাশাপাশি এই ফলের পাতা খেলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে। রাতকানা রোগীসহ অন্যান্য চোখের সমস্যা প্রশমনে ও সহায়তা করে।

 

 

শরীরে শক্তি যোগায় : নিমিষেই সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে চাঙা করে দিতে পারে খেজুর। খেজুরে প্রচুর শর্করা থাকায় দ্রুত কর্মশক্তি বেড়ে যায়।খেজুরের মধ্যে থাকা সুগার শরীরে একটা চনমনে ভাব আনে। মানসিক ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।

 

হার্ট সবল থাকে : ডায়েটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে খেজুর খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। তাই এতে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়।

 

অ্যান্টি অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ : খেজুরে প্রচুর মাত্রায় প্রকৃতির অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা একাধিক রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীর গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 

সবল রাখে হাড় : খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম,সেলেনিয়াম, কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপকারী খনিজ এবং ভিটামিন যা হাড়কে খুবই সবল রাখে।

 

ওজন বাড়াতে সাহায্য করে : যাদের ওজন মাত্রাতিরিক্ত হারে কমে যেতে শুরু করেছে তারা খেজুর খেলে ওজন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 

নার্ভ ও ব্রেইন ভালো রাখে : খেজুরে থাকা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ বিশেষ করে পটাশিয়াম নার্ভ ও ব্রেইনের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

 

রক্তশূন্যতা দূর করে : খেজুর নিয়মিত খেলে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি শরীরে রক্ত তৈরি করতে সহায়তা করে।

 

অ্যালার্জি থেকে বাঁচায় : খেজুরে থাকা সালফার অ্যালার্জির মতো রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।