মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে ৭ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৯:২৬ পিএম, ১ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার
প্রতীকী ছবি
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় খাতে ৭ হাজার ২৪৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এরমধ্যে পরিচালন খাতে ৫ হাজার ৯১৬ কোটি ৩ লাখ টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ১ হাজার ৩২৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার সংসদে নতুন অর্থবছরের জন্য এই বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেন।
গত অর্থবছরে এই খাতে বাজেটের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৮ হাজার ৬১ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্মৃতি ও স্মারক সংরক্ষণে সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে যে সকল ভাতা প্রদান করে আসছি তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। ইতোমধ্যে জীবিত মুক্তিযোদ্ধা এবং মৃতদের ক্ষেত্রে পরবর্তী সুবিধাভোগীদের নাম-পরিচিতি নিশ্চিত করে তাঁদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংবলিত ম্যানেজমেনন্ট ইনফর্মেশন সিস্টেম (এমআইএস) প্রস্তুত করা হয়েছে। জি-টু-পি পদ্ধতিতে সরাসরি ভাতাভোগীদের ভাতা প্রদান প্রক্রিয়ায় এ ডাটাবেজ ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচিতি নিশ্চিতকল্পে তাদের অনুকূলে স্মার্ট কার্ড ও ডিজিটাল সনদ প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ৩০ হাজার ‘বীর নিবাস’ নির্মাণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৫ হাজার নিবাস হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর কবর/সমাধি একই ডিজাইনে নির্মাণের কাজও চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৬৪ জেলার ২৯৩টি উপজেলার ৩৬০টি স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ/জাদুঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ২৭১টি ঐতিহাসিক স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ভারতীয় মিত্র বাহিনীর ১ হাজার ৬৬১ জন সদস্যের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে 'বীরের কণ্ঠে বীর গাঁথা' প্রকল্পের মাধ্যমে সকল জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য রেকর্ডের জন্য কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।