ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৫০ কিশোর-কিশোরী
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৯:৩৪ পিএম, ২ জুন ২০২৩ শুক্রবার
সংগৃহীত ছবি
ভালো কাজের আশায় ও আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে অবৈধ পথে ভারত গিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরল ৫০ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরি।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) সন্ধ্যায় তাদের ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আহসান হাবীব, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, চেকপোস্ট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মাহাবুবুর রহমান প্রমূখ।
ফেরতআসাদের মধ্যে কিশোর ২৮ জন, কিশোরি ২২ জন। তাদের মধ্যে ৪৬ জনের বয়স ৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এবং বাকি চারজনের বয়স ২০ বছরের মধ্যে। এরা দেশের কুড়িগ্রাম, কিশোরগন্জ, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, কক্সবাজার, রাজশাহী, পিরোজপুর ও রংপুর জেলার বাসিন্দা।
ফিরে আসারা জানায়, তারা বিভিন্ন মেয়াদে ভারতে কারাভোগ করেছে। দুই দেশের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আজ দেশে ফিরেছে। পরে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে তিনটি এনজিও তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য যশোর শেল্টার হোমে নিয়ে যাবে।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনার কাউন্সিলর তুসিতা চাকমা ওই কিশোর কিশোরিদের সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে দালালের খপ্পরে পড়ে ভালো কাজের আশায় আবার কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে তারা ভারতে যায়। বিভিন্ন অঞ্চলে বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় তারা ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর আজ তারা দেশে ফিরে এসেছে।এদের মধ্যে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার গ্রহন করবে ৩৩ জন, মহিলা আইন সমিতি গ্রহণ করবে ১০ জন এবং যশোর রাইটস গ্রহন করবে ৭ জনের।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবীব বলেন, পাসপোর্ট ছাড়াই সীমান্তের অবৈধপথে ভারতের কলকাতার বিভিন্ন শহর এলাকায় গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন পেশার কাজ করার সময় পুলিশের হাতে আটক হয় তারা। পরে পুলিশ তাদের আদালতে পাঠালে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়। সাজা শেষ হলে তাদের ছাড়িয়ে সে দেশের একটি বেসরকারি এনজিও নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরে উভয় দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।