ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬, নভেম্বর ২০২৪ ১১:৪৭:১৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

মেহেরপুরে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৩ এএম, ৭ জুন ২০২৩ বুধবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের হাড়াভাঙ্গা গ্রামে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে থাকা অবস্থায় মা তাছলিমা খাতুন (২৭) ও তার শিশুকন্যা মাহি খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাহির বয়স মাত্র দেড় বছর। তাছলিমা খাতুন হাড়াভাঙ্গা গ্রামের পশ্চিম মিন্টু চৌধুরীর স্ত্রী।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকে তাছলিমা ও তার মেয়ে মাহির মরদেহ উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশের একটিদল।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে তাছলিমা ও তার মেয়ে মাহির মরদেহ বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে থাকা মরদেহ দেখতে পান তাছলিমার শাশুড়ি। এসময় চিৎকার দিতে দিতে বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান তাছলিমার শাশুড়ি। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখে মা ও মেয়ের নিথর মরদেহ পড়ে রয়েছে। এ বিষয়ে তাছলিমার স্বামীর আত্মীয়-স্বজনরা বলছে, বিদ্যুৎ লাইন থেকে চার্জার ব্যাটারি খুলতে গিয়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে এলাকার মানুষ বলছে, এ মৃত্যু রহস্যজনক। কারণ, মিন্টু চৌধুরীর স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও গত ১ সপ্তাহে আগে অন্য নারীকে বিয়ে করেছেন। এ বিয়েকে কেন্দ্র করে তাছলিমা প্রতিবাদ করতে গেলে মিন্টু তাকে মারধর করেন। গত কয়েকদিন ধরে মিন্টু তার স্ত্রী তাছলিমাকে মারধর করে আসছিলেন।

ফলে মিন্টু পথের কাঁটা সরাতে স্ত্রী-সন্তানকে কৌশলে হত্যা করে বিদ্যুৎ লাইনে জড়িয়ে রেখে নাটক সাজাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তবে অনেকেই আবার বলছে, স্বামীর মারধরের কারণে তাছলিমা তার শিশু কন্যাকে কোলে নিয়ে নিজের ইচ্ছায় বিদ্যুৎ লাইনে হাত দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।

স্থানীয়রা আরো জানান, তাছলিমাকে বিয়ের আগে মিন্টুর প্রথম স্ত্রী ও সন্তান ছিল। পরবর্তীতে ফরিদপুর জেলার মেয়ে তাছলিমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। গত এক সপ্তাহ আগে মিন্টু নিজ এলাকায় তৃতীয় বিয়ে করেছেন। এভাবে একাধিক বিয়ের কারণে তার বাড়িতে ঝগড়া লেগেই থাকতো।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রথমত মনে হচ্ছে, বিদ্যুৎ লাইনে শরীর স্পর্শ হওয়ায়, মা ও তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। রাতেই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে মা ও তার মেয়ের ময়নাতদন্ত করার জন্য নেয়া হবে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা সম্ভব হবে।