গোপালগঞ্জে প্রায় দুই লাখ শিশুকে এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০২:০৪ পিএম, ১৪ জুন ২০২৩ বুধবার
গোপালগঞ্জে প্রায় দুই লাখ শিশুকে এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায় ১ লাখ ৯০ হাজার ৩১৩ টি শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আজ বুধবার সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস আয়োজিত জাতীয় ভিটামিন ’এ’প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভায় মেডিকেল অফিসার ডা. এসএম সাকিবুর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ।’
ভিটামিন এ খাওয়ান শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ এ প্রতিপাদ্যে গোপালগঞ্জে আগামী ১৮ জুন রোববার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ভিটামিন ’এ’প্লাস ক্যাম্পেইন।
সাংবাদিকদের সমন্বয়ে আলোচনা সভা থেকে জানানো হয়, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ০৬ থেকে ১১মাস বয়সী শিশুদের একটি নীল রঙের ভিটামিন ’এ’ প্লাাস ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ’এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।এ জেলায় ০৬ থেকে ১১মাস বয়সী ২৭ হাজার ৩শ’৩৮টি শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৭৫টি শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ’এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।মোট ১ হাজার ৭১৬টি কেন্দ্রে দু’প্রকারের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৩ হাজার ৪৩২ জন স্বেচ্ছাসেবক, ২১১ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ১৮২ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার, ২৪৬ জন পরিবার কল্যাণ সহকারী, এবং ২১৬ জন প্রথম শ্রেণির তত্ত্ববধায়ক সকাল ৮টা হতে বেলা ৪টা পর্যন্ত জেলার ৫ উপজেলার ৬৭ টি ইউনিয়নের এবং ৪ টি পৌরসভার বিভিন্ন কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ তার বক্তব্যে বলেন, ভিটামিন এ অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা দূর করে শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস করে ।শিশু মৃত্যুরোধে জন্মের পর নবজাতককে কেবল মায়ের শালদুধ পান করানোর পরামর্শ দেন তিনি । শিশুকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এ সময় অন্যকোন খাবার বা পানি খাওয়ানোর দরকার নেই। শিশুর বয়স ৬মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবর হাওয়াতে হবে। বাইরের কোন খাবার খাওয়ানো যাবে না বলে সিভিল সার্জন জানান।তিনি আরো বলেন, মা ও শিশুকে রঙিন শাক সবজি ও ফল খাওয়াতে হবে। এর ফলে মা ও শিশু প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে।
সিভিল সার্জণ ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ আরো বলেন, জাতীয় ভিটামিন ’এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফলভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে সমস্ত প্রস্ততি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। ১৮ জুন সকালে গোপালগঞ্জ পৌর সভায় জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুববুল আলম এ কর্মকান্ডের উদ্বোধন করবেন। গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শেখ রকিব হোসেন সহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত থাকবেন।
সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মুন্না বলেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন থেকে বাদপড়া শিশুদের খুঁজে বের করে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। তা হলে সব শিশুই ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় আসবে। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে সফল হবে।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. এসএম সাকিবুর রহমান বলেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন থেকে বাদপড়া শিশুদের খুঁজে বের করে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এছাড়া শুক্রবার জুম্মার নামাজের খুদবায় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সম্পর্কে অবহিত করা হবে। যাতে কোন শিশু এ ক্যাম্পেইন থেকে বাদ না পড়ে সেই জন্য ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হয়েছে । আশাকরছি বারের ভিটামিন এ প্লক্যাম্পেইন সবার সহযোগিতায় সাফল্য মন্ডিত হবে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকে ক্যাম্পেইন কেন্দ্র হয়। এটি আমরা তদারকি করি।
সিভিল সার্জনের কার্যালের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সমন্বয়ে আলোচনা সভায় গোপালগঞ্জ সিভিলসার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা.দ্বীবাকর বিশ্বাস, সিাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, এসএম হুমায়ূন কবির, মাহবুব হোসেন সারমাত, মনোজ কুমার সাহা, প্রসূন মন্ডল, এস.এম নজরুল ইসলামসহ গোপালগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।