পার্লামেন্টে অস্ট্রেলিয়ার নারী আইনপ্রণেতা যৌন হেনস্থার শিকার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:৫৮ পিএম, ১৫ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার
সংগৃহীত ছবি
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে যৌন ‘হেনস্থার শিকার’ হয়েছেন দেশটির একজন নারী আইনপ্রণেতা। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত অভিযোগ সামনে এনেছেন।
এমনকি নারীদের কাজ করার জন্য অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ‘নিরাপদ জায়গা নয়’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার একজন অস্ট্রেলিয়ান আইনপ্রণেতা বিস্তারিত অভিযোগ করেছেন, তিনি কিভাবে পার্লামেন্টের ভেতরে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। একইসঙ্গে পার্লামেন্ট ভবনটি নারীদের কাজের জন্য ‘নিরাপদ জায়গা নয়’ বলেও দাবি করেছেন তিনি।
এএফপি বলছে, পার্লামেন্টে যৌন হেনস্থার শিকার অস্ট্রেলিয়ার ভুক্তভোগী ওই নারী আইনপ্রণেতার নাম লিডিয়া থর্প। অশ্রুসিক্ত নয়নে সিনেটে দেওয়া ভাষণে থর্প বলেন, তিনি ‘যৌন মন্তব্য’ এর শিকার হয়েছেন।
একইসঙ্গে তাকে সিঁড়িতে কোণঠাসা করা হয়েছিল এবং ‘শক্তিশালী পুরুষরা’ তাকে ‘অনুপযুক্তভাবে শারীরিক স্পর্শ’ করেছিল। সেসময় তাকে ‘কুপ্রস্তাব’ দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন লিডিয়া থর্প।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, লিডিয়া থর্প বুধবার তার সহকর্মী এক সিনেটরের বিরুদ্ধে ‘যৌন নির্যাতন’ করার অভিযোগ তোলেন। পরে সংসদীয় নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে নিজের ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন লিডিয়া।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সিনেটর ডেভিড ভ্যানের বিরুদ্ধে আবারও অভিযোগ তুলেছেন লিডিয়া থর্প। থর্পের দাবি, তার অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন ডেভিড ভ্যান। তবে এই অভিযোগ কঠোরভাবে অস্বীকার করেছেন ভ্যান।
সিনেটর ভ্যান বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি এই ধরনের অভিযোগের কারণে ‘ছিন্নভিন্ন এবং বিধ্বস্ত’ হয়েছেন। এমনকি এসব অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ অসত্য’ বলেও স্থানীয় মিডিয়াকে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ‘যৌন নিপীড়ন’ বিভিন্ন মানুষের কাছে ভিন্ন ভিন্ন জিনিস বোঝায় স্বীকার করে ভুক্তভোগী থর্প অস্ট্রেলিয়ান গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি যে ঘটনার শিকার হয়েছি তা হচ্ছে- আমাকে অনুসরণ করা হয়েছে, আক্রমণাত্মকভাবে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ করা হয়েছে।’
লিডিয়া থর্প আইনপ্রণেতাদের বলেন, ‘আমি অফিসের দরজা থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছিলাম। বাইরে পা দেওয়ার আগে আমি দরজাটা একটু খুলে দেখে নিতাম।’
তার ভাষায়, ‘এই ঘটনার কারণে যখনই আমি এই বিল্ডিংয়ের (পার্লামেন্টের) ভেতরে যাই তখন আমাকে একজনের সাথে থাকতে হয়েছিল। আমি জানি এমন আরও অনেকে আছেন যারা একই ধরনের অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। তবে নিজেদের ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে এসব হয়রানি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ তারা নেননি।’