বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, কিছুটা উন্নতি ঢাকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:২১ পিএম, ১৬ জুন ২০২৩ শুক্রবার
সংগৃহীত ছবি
বিশ্বের বায়ুদূষণের শীর্ষে অবস্থানে উঠে এসেছে পাকিস্তানের লাহোর। এদিকে, রাজধানী ঢাকার অবস্থান ১৪তম। শুক্রবার (১৬ জুন) সকাল ১০টা ১০ মিনিটে আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা লাহোরের বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ১৫৫ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান। শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৪৮ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
তৃতীয় অবস্থানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। শহরটির স্কোর হলো ১৪৪ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়। সেই সঙ্গে তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: এডিস মশা নিধনে ঘাটতি আছে, ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণাধীন ধুলো। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ পরিমাণে বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।