৪ জেলায় ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৭:৫৮ পিএম, ১৯ জুন ২০২৩ সোমবার
সংগৃহীত ছবি
দেশের ৪ জেলায় ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। নোয়াখালী, লালমনিরহাট, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল জেলায় এসব ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। একইসঙ্গে এসব ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো নারীবাদি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
১৯ জুনের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরের বরাতে বলা হয়, গত ১৪ জুন বুধবার নবদম্পতি নোয়াখালীর সুধারাম থানার নোয়াখালী ইউনিয়নের বটতলী পূর্ব চরউরিয়া এলাকা থেকে মোটরসাইকেলে করে মুছাপুর রেগুলেটরে ঘুরতে আসে। তারা সুইজ গেইট এলাকার পূর্ব দিকে বন বিভাগের বাগানের পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিল। এ সময় জাহাঙ্গীর, রিয়াদ ও মিষ্টার ছুঁরি ও লাঠি নিয়ে তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আটক করে। পরে নির্যাতনের শিকার স্ত্রীর স্বামীকে পিটিয়ে গামছা দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে জাহাঙ্গীর ও রিয়াদ জোরপূর্বক দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে জড়িতরা পালিয়ে যায়।
লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট এলাকায় কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্রী তার বন্ধুদের সাথে বিমানবন্দর এলাকায় ঘুরতে যায়। তাকে জোরপূর্বক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কৌশলে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ফতুল্লায় চকলেট কিনে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা সূত্রে গেছে, ১৪ জুন রাতে ওই শিশুর মা রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় প্রতিবেশী নাসিম মিয়া (৫৩) চকলেট কিনে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে ওই নারী গত ১৭ জুন ২০২৩ তারিখ পাশের গ্রাম থেকে ফেরার পথে এলাকার বখাটে ইয়াসিন মোল্লা, জিহাদ মৃধা ও হৃদয় চৌকিদার তাকে ভয় দেখিয়ে একই এলাকার একটি টিনের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীকে তারা জোর করে সাবেক প্রাইভেট শিক্ষক মো. রেজাউল করিম পলাশের বাসায় নিয়ে যায় এবং মো. রেজাউল করিম পলাশের সহায়তায় কয়েকজন মিলে তাকে আবার ধর্ষণ করে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সম্প্রতি দলবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের ঘটনাসমূহ ঘটেই চলেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, নারী ও কন্যারা ধর্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের সহিংসতার শিকার হচ্ছে। ঘরে বাইরে কোথাও নারী ও কন্যারা নিরাপদ নয়। নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা তাদের নিরাপত্তার হুমকির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে যা নারী ও কন্যার অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
বিবৃতিতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তিরোধে সংগঠনটি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলার আহ্বান জানানো হয়েছে।