বিছানায় করুন ৫ যোগাসন, মেজাজ থাকবে ফুরফুরে
স্বাস্থ্য ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৩২ এএম, ২৪ জুন ২০২৩ শনিবার

প্রতীকী ছবি
নিয়মিত যোগাসন করলে কমবে ওজন, চেহারা হবে ছিপছিপে, মেজাজ থাকবে ফুরফুরে, শরীর থাকবে এক্কেবারে ফিট। এত কিছু জানা সত্ত্বেও অনেকেই সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে শরীরচর্চা করতে চান না। সাতসকালে ঘুম থেকে উঠে যোগাভ্যাস করতে অনেকেরই আলস্য লাগে। বিছানা ছেড়ে উঠতেই ইচ্ছে করে না। কিন্তু সুস্থ-সবল থাকার জন্য নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সত্যিই প্রয়োজন রয়েছে। তাহলে উপায়? এমন কিছু যোগাসন আছে, যেগুলি আপনি বিছানায় থেকেই সেরে ফেলতে পারেন। এর জন্য আলাদা করে 'ম্যাট' পাতার দরকার নেই! দেখে নিন, কোন কোন যোগাসন বিছানায় বসেই করতে পারেন।
বদ্ধকোনাসন:
যোগব্যায়ামের সবচেয়ে সহজ এবং আরামদায়ক ভঙ্গিগুলির মধ্যে অন্যতম বদ্ধকোনাসন। এটি প্রজাপতি ভঙ্গি (butterfly pose) হিসেবেও জনপ্রিয়। ব্যাক পেইন, কাঁধের ব্যথা কমাতে দারুণ কার্যকর এই ব্যায়াম। এর পাশাপাশি এই যোগাসন অভ্যন্তরীণ উরু পেশীর নমনীয়তা বাড়াতেও সাহায্য করে। হার্ট, ডিম্বাশয়, পেটের অঙ্গগুলি সুস্থ রাখে। ক্লান্তি কমায়। সায়াটিকার ব্যথার জন্যও এই যোগব্যায়াম খুব উপকারী। একেবারে সোজা হয়ে বসুন দু'দিকে পা টান টান করে ছড়িয়ে। এর পর পা দু'টো হাঁটু থেকে মুড়ে দু'পায়ের গোড়ালি যতটা সম্ভব যৌনাঙ্গের কাছে এনে একত্রিত করুন। দু'হাত দিয়ে দুই পায়ের পাতা ধরুন।
জানু শীর্ষাসন:
এই যোগাসনও ব্যাক পেইন কমায়, মানসিক চাপ কমিয়ে মেজাজ ফুরফুরে রাখে। পাশাপাশি ঋতুস্রাবও স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে। সামনের দিকে দুই পা মেলে সোজা হয়ে বসুন। ডান পা ভাঁজ করে গোড়ালি বাম ঊরুসন্ধি (কুঁচকি) সংলগ্ন আনুন। ডান পায়ের পাতা বাম উরুর সঙ্গে লেগে থাকবে। বাম পা সামনের দিকে সোজা ছড়িয়ে থাকবে। এবার দু'হাত দিয়ে বাম পায়ের বুড়ো আঙুল ধরুন। কোমর থেকে শরীরের উপরাংশ নিচু করে কপাল বাম পায়ের হাঁটুতে লাগান। হাতের দুই কনুই বাম পায়ের দু'পাশে মেঝেতে রাখুন। বাম হাঁটু যেন না ভাঙে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকুন। তারপর অন্য পায়ের সঙ্গে একই পুনরাবৃত্তি করুন।
পরিবর্ত সুখাসন:
এই যোগাসনও পিঠের ব্যথা, যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। পেটের পেশী ঠিক রাখে, স্ট্রেস কমায়, ভেরিকোজ শিরা ঠিক রাখে এবং মনকে শান্ত করে। সোজা হয়ে পা মুড়ে বসুন। দুই হাত দুই হাঁটুর ওপর রাখুন। তারপর ডান হাত পিছন দিকে মাটিতে রাখুন। বাম হাত রাখুন ডান হাঁটুর ওপর। নিঃশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কোমর থেকে ডান দিকে ঘুরুন। ধীরে ধীরে শ্বাস নিন এবং কিছু সময় এই অবস্থানে থাকুন। তারপর আবার শুরুর অবস্থানে ফিরে এসে, একই ভাবে বাম দিকে শরীর মোচড় দিয়ে আসনটি অভ্যাস করুন।
বালাসন:
এই যোগাসন স্নায়ুতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। সেই সঙ্গে ঘাড় ও পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। হাঁটু পেছন দিকে মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার শরীরটা এমন ভাবে সামনের দিকে বেঁকান, যাতে বুক উরুতে গিয়ে ঠেকে। কপাল গদির উপরে রেখে হাত দু'টি সামনের দিকে সোজাভাবে ছড়িয়ে দিন।
সুখাসন:
এই যোগাসনের ফলে মন শান্ত হয়, চিন্তা কমে, স্ট্রেস ও উদ্বেগ দূর হয়। পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিও দূর হয়। প্রথমে শিরদাঁড়া সোজা করে পা সামনের দিকে ছড়িয়ে বসুন। এবার হাঁটু ভাজ করে বাম দিকের পা ডান দিকের হাঁটুর তলায় রাখুন। ডান দিকের পা বাম দিকের হাঁটুর তলায় রাখুন। হাতের তালু দু'টি দুই হাঁটুর উপরে রাখুন। মাথা, ঘাড় ও শিরদাঁড়া যেন এক সরলরেখায় থাকে। চোখ বন্ধ করে স্বাভাবিক শ্বাস নিন। এক মিনিট এই অবস্থানে থাকুন।