জয়পুরহাটে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুরহাট
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৪৪ এএম, ২৪ জুন ২০২৩ শনিবার
সংগৃহীত ছবি
জয়পুরহাটে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুরহাট। জেলায় এবার কোরবানির জন্য এক লাখ ৫০ হাজার ২শ পশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হলেও পশু মজুদ রয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার ২২১ টি। পশুর হাটবাজার ও গ্রামে ঘুরে সাধারণ ক্রেতা ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পাইকাররা তাদের পছন্দ মতো গুরু ছাগল কিনছেন। আবার অনলাইনেও কোরবানির পশু কেনা বেচা হচ্ছে।
প্রাণি সম্পদ বিভাগ সূত্র জানায়, জয়পুরহাট জেলায় ছোট বড় মিলে জেলায় ১২ হাজার ৪১৮ টি পশুর খামার রয়েছে। আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে এবার জয়পুরহাট জেলায় এক লাখ ৫০ হাজার ২শ পশু কোরবানি হবে এমন টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে জেলার খামার পর্যায়ে পশু মজুদ রয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার ২২১টি। এরমধ্যে রয়েছে ষাড় গরু ৩১ হাজার ৫৩৩ টি, বলদ গরু ১৫ হাজার ৪১৪টি, গাভী ২৬ হাজার ৯৮৮টি, মহিষ ৫৪৯ টি, ছাগল এক লাখ ৮৬ হাজার ৯০৫ টি ও ভেড়া রয়েছে ৪৬ হাজার ৮৩২ টি। যা জেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত হিসেবে এক লাখ ৫৮ হাজার ২১টি পশু দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
খামারগুলোতে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোটাতাজা করণ কর্মসূিচর আওতায় পশু লালন-পালন করা হয়ে থাকে। জেলায় সাধারণত সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ৯টি পশুর হাট থাকলেও ঈদ উপলক্ষে ছোট বড় মিলে জেলায় ২৩ টি পশুর হাট বসছে। সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা। নগদ টাকা লেনদেনের ঝুঁকি হ্রাস করতে জেলা প্রাসিম্পদ বিভাগ অনলাইন প্লাট ফর্মের মাধ্যমে ব্যাংকিং সুবিধা নিয়ে ক্যাশ লেস পশু কেনা বেচার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবার।
পশুর হাটবাজারগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা ও জাল টাকা রোধে চেক পোষ্ট বসানো, গ্রামীণ পর্যায়ে যাতে গরু চুরি না হয় সে জন্য চৌকিদার সমন্বয়ে পাহারা জোরদার করা এবং সাধারণ পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও কাজ করছে বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম।
এ ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। গ্রামীণ পর্যায়ে গরু-ছাগলের খামার তৈরিতে সরকারের নানামূখী আয় বর্ধন মূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে সাধারণ মানুষ এখন অভাবকে দূরে ঠেলে দিয়ে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন গরু-ছাগলের খামার করে।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক জয়পুরহাট জোনাল অফিস এবার প্রাণি সম্পদ খাতে ২৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করেছে বলে জানান, জোনাল ব্যবস্থাপক শাকিল মাহমুদ। স্থানীয় বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান ’জাকস ফাউন্ডেশন’ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ কর্মসূিচর আওতায় এবার ১৬০ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি ঢাকাতে অনলাইনের মাধ্যমে গরু ও ছাগল বিক্রির ব্যবস্থা করেছে বলে জানান, উপ পরিচালক (প্রাণি সম্পদ বিভাগ) ওবাইদুল ইসলাম।
জেলা শহরের সবচেয়ে বড় পশুরহাট নতুনহাট ঘুরে খামারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নতুন শহর এলাকার খামারী মুনসুর রহমান, ধলাহারের মল্লিকপুর গ্রামের হবিবুর মাষ্টার, বুলুপাড়ার দুলাল, পাথুরিয়া গ্রামের আইয়ুব আলী জানান, এবার গরুর বাজার ভালো তাই গরু বিক্রি করে ভালো লাভ করেছেন। ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা গরুর কিছু পাইকার স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় গ্রামে ও হাটে দেখে শুনে কোরবানির পশু কিনছেন। তবে পরিমান খুব অল্প বলে জানান, জেলা ডেইরি ফারমার্স এসোসিয়েশন সভাপতি ও বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাদমান আলিফ।
এবার ছোট ও মাঝারী সাইজের গরুর চাহিদা বেশি বলে জানান তিনি।