জমে উঠছে গাবতলী পশুর হাট
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৪৬ এএম, ২৫ জুন ২০২৩ রবিবার
সংগৃহীত ছবি
দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। আর মাত্র কয়েকটিন পর উদযাপিত হতে যাচ্ছে কোরবানির ঈদ। ঈদকে ঘিরে এরই মধ্যে জমে উঠছে রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাট। এর মধ্যে রাজধানীর সবচেয়ে বড় স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীতে আসতে শুরু করেছেন ক্রেতারা। ক্রমেই জমে উঠছে বৃহৎ এই গরুর হাট।
শনিবার (২৪ জুন) গাবতলী পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটের স্থায়ী ও অস্থায়ী দুই অংশই কোরবানির পশুতে ভরে গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠছে হাট প্রঙ্গণ।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট বড় পশু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারীরা। গরুর পাশাপাশি ঢুকছে ছাগলও।
তবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন এখনো বেশিরভাগ ক্রেতা বাজার যাচাই করতেই আসছেন। কাঙ্খিত পশুটি তারা যচাই বাছাই করেই কিনবেন।
ঈদের আগের দুইতিন দিন হাট পুরোপুরি জমে উঠবে বলে আশা বিক্রেতা ও হাট কর্তৃপক্ষের।
হাটের ব্যবস্থাপক আবুল হাসেম বলেন, শুক্রবার রাত থেকে হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। বেচাকেনাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। ঈদ যত এগিয়ে আসবে, বেচাকেনাও তত বাড়বে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৭ হাজার পশু এসেছে। আরও পশু আসছে। আশা করছি এবার ২০-২৫ হাজার পশু বিক্রি হবে। হাটের প্রস্তুতি পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। ১১টি হাসিল ঘর, র্যাব, পুলিশ ও সিটি এসবির জন্য বুথ, ব্যাংকের জন্য বুথ এবং তিনটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। হাটে চারটি চেকপোস্ট রয়েছে। পাশাপাশি দুই শিফটে ১২০০ স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি আরও বলেন, হাসিল ঘরের পাশাপাশি ১০ থেকে ১২টি ব্যাংকের বুথ থাকবে। সেসব বুথ বা হাসিল ঘরে গিয়ে টাকা পরীক্ষা করেতে পারবেন। পশুর চিকিৎসায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন ও চিড়িয়াখানার চিকিৎসকসহ আলাদা আলাদা তিনটি টিম থাকবে।
বিক্রেতারা বলছেন, হাটে বেচাকেনা শুরু হলেও পুরোপুরি জমতে দুই দিন সময় লাগবে। হাটে বড় এবং মাঝারি গরু বেশি এসেছে। সেগুলোই এখন বিক্রি হচ্ছে। ছোট গরু এখনো তেমন আসেনি। শেষের দিকে ছোট গরু এলে সেগুলোই বেশি বিক্রি হবে।
ব্যাপারী আকবর হোসেন বলেন, হাটে অনেকে এলেও বেশিরভাগ দেখতে এসেছেন। গরুর দাম শুনলেও নিজেরা বলছেন না। যাদের রাখার জায়গা আছে তারাই এখন গরু কিনছেন। যাদের জায়গা নেই তারা ঈদের এক-দুই দিন আগে কিনবেন।
বিক্রেতা আজহার উদ্দিন বলেন, শুক্রবার ১৭ট গরু নিয়ে এসেছি। আজকেই ৬টি বিক্রি হয়েছে। এবার গরুর দাম বেশি, তাই এখনো বেচাকেনা পুরোপুরি জমেনি। মানুষ ভাবছে শেষেরদিকে দাম কমবে। কিন্তু এবার শেষের দিকে গরুর সংকট হতে পারে। তখন দাম উল্টো আরও বাড়তে পারে।
মোহাম্মদপুর বসিলা থেকে গাবতলী হাটে এসেছেন ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন মানিক। তিনি বলেন, হাট মোটামুটি জমে উঠেছে। তাই চলে এলাম গরু কিনতে। পছন্দ হলে কিনে নিয়ে যাবো। তবে এবার গরুর দাম বেশি।
রায়ের বাজার থেকে এসেছেন খালিদ সাইফুল্লাহ। তিনি বলেন, আজকে বাজার পরিস্থিত দেখতে এসেছি। বাসায় রাখার সমস্যা, আজকে কিনবো না। ঈদের আগে কিনবো৷ এখন দেখে যাচ্ছি৷ মনে হচ্ছে এবার দাম তুলনামূলক বেশি। দাম যাই হোক, কোরবানিতো দিতে হবে।