জমজমাট পশুর হাট, বেচাকেনা কম
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৮:২১ পিএম, ২৬ জুন ২০২৩ সোমবার
সংগৃহীত ছবি
ঈদের দিন যতটা ঘনিয়ে আসছে, ততই ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠছে রাজধানীর পশুর হাট। দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই রাজধানীতে আসছে পশু। সড়ক পথের পাশাপাশি পশু আসছে রেলপথেও।
ঢাকা মহানগরীতে সিটি করপোরেশনের রয়েছে ১৯টি পশুর হাট। এসব হাটে কয়েক দিন ধরে আসছে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক। আর রাজধানীর কমলাপুরে আসছে পশুবাহী ট্রেন।
এসব পশু ব্যবসায়ীরা নিয়ে যাচ্ছেন রাজধানীর বিভিন্ন হাটে। তাই প্রতিটি হাটে রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক কোরবানির পশু। এবার হাটে ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে ছোট বড় মাঝারি সব ধরনের পশু উঠেছে।
বিক্রেতারা বলছেন ক্রেতারা হাটে আসলেও এখনো বেচাকেনা জমে উঠেনি। বেচাকেনা একদম কম। ক্রেতারা পশুর দাম জিজ্ঞেস করছেন। ঘুরে ঘুরে বাজার দেখছেন। তবে অনেকে পছন্দের পশু কিনছেন। খুব কম মানুষেই এখন পশু কিনছেন। যাদের পশু রাখার জায়গা আছে শুধু তারাই পছন্দ হলে, দাম দরে মিললে কিনছেন।
এর আগেও দেখা গেছে রাজধানীর পশুর হাটে সাধারণত ঈদের আগের দিন সবচেয়ে বেশী পশু বিক্রি হয়। এবারও হয়তো তার ব্যতিক্রম হবে না।
রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা যায় হাটে মানুষের ভিড়। রয়েছে বিপুল সংখ্যক কোরবানির পশু।
জিল্লুর রহমান। থাকেন রাজধানীর রায়ের বাজার শিকদার মেডকেলের পাশে রিভার ভিউ মডেল টাউনে। গাবতলী পশুর হাটে এসেছেন কোরবানির পশু কিনতে।
পশুর দাম কেমন জানতে চাইলে বলেন, এবার পশুর দাম বেশী। তবে ঈদের আগে হয়তো একটু কমতে পারে। এখনই কিনবো না। গরু রাখার জায়গা নেই। তাছাড়া এই তিন চার দিন লালনপালন করাটাও বড় ঝামেলার। অনেক কষ্টের। তাই ঈদের আগের দিনই কিনবো।
তিনি আরও বলেন, এখন বাজার যাচাই করতে এসেছি। আসলে একটা আইডিয়া থাকা দরকার। ব্যাপারীরাতো বেশী দাম চাইবেই। দরকষাকষি করতে তো দাম জানতে হবে। তাই হাট ঘুরছি। আইডিয়া নিচ্ছি।
রাজধানীর মেরাদিয়া হাটে পশু দেখছিলেন মাদারীপুরের আবু বকর। থাকেন দক্ষিণ বনশ্রী। ঢাকায় নিজের ব্যবসা আছে। এবার তিনি গ্রামে যাবেন না। ঢাকায় কোরবানি দিবেন।
আরটিভি নিউজকে তিনি বলেন, এবার দাম একটু বেশী মনে হচ্ছে। তবে পশুর অভাব নেই। পর্যাপ্ত পশু আছে। আমরা মধ্যবিত্ত মানুষ। তাই মাঝারি আকারের গরু দেখছি। আশা করি প্রত্যাশা অনুযায়ী পেয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, হাতে সময় আছে। তাই বিক্রেতারা দাম ছাড়ছেন না। যেভাবে ঢাকায় পশু ঢুকছে, আশা করি দাম কমবে।
অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন যে দামে পশু কিনছেন তার সাথে সব খরচ যোগ করলে এবার লোকসানে পড়তে হবে। তাদের আশা শেষ সময় দাম কিছু বাড়বে। কারণ শেষ সময়ে পশুর সংকট হতে পারে।
জামালপুরের ব্যবসায়ী আকবর বলেন, গরুর দাম বাড়বে, কেননা ঢাকার ক্রেতারা শেষ সময় হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এই প্রত্যাশায় টার্গেট পূর্ণ না হওয়ায় এখনই গরু বিক্রি করছেন না তিনি।
আরেক বিক্রেতা ফরিদপুরের শামসুদ্দিন বলেন, ঢাকার মানুষ খালি ঘুরে, আর দেখে। তবে সময় শেষ হলে আর ঘোরার সময় পাবেন না। এখন পশু রাখার জায়গার সংকটে তারা কিনছেন না। শেষ সময় বেচাবিক্রি ভাল হবে আশা করি।