ঢাকা, শুক্রবার ১৫, নভেম্বর ২০২৪ ১০:১৯:৩৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কোরবানির মাংস বণ্টন করবেন যে নিয়মে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৫৯ এএম, ২৯ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

কোরবানি হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের ইবাদত। ইসলামে কোরবানির অর্থ হলো আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য শরিয়ত নির্দেশিত উপায়ে কোনো প্রিয় বস্তু আল্লাহর দরবারে পেশ করা। কোরবানি মানে শুধু আত্মত্যাগই নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার অনন্য এক নিদর্শনও।

১০ জিলহাজ পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহ তা’য়ালা মূলত মানুষের তাকওয়া-পরহেজগারি পরীক্ষা করেন। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, মনে রেখো, কোরবানির পশুর মাংস অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছায় না; বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের পরহেজগারিই পৌঁছায় (সূরা হজ : ৩৭)।

কোরবানি দেওয়ার পর গরুর মাংস বণ্টন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কমবেশি সবারই জানা আছে, পশু কোরবানি করার পর মোট মাংসের তিনটি ভাগ করে এক ভাগ গরিব-দুঃখীকে, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে এবং এক ভাগ নিজে খাওয়ার জন্য রাখতে হয়। তাই পশু কেনার সময় সুস্থ এবং বেশি মাংস সম্পন্ন হলে সব পক্ষই লাভবান হয়।

পশু কোরবানির ফলে অন্তর পরিশুদ্ধ হবে। আর এটাই হলো কোরবানির মূল প্রেরণা। আজকাল অনেকে মাংস জমা করে সেখান থেকে প্রতিবেশী ও ফকীর-মিসকীনদের কিছু কিছু দিয়ে বাকী মাংস পুনরায় নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নেন। এর মাধ্যমে কৃপণতা প্রকাশ পায়। যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।


কোরবানির মাংস বানানোর পর সব মাংসকে সমান তিনভাগে ভাগ করতে হবে। পরিমাপের ক্ষেত্রে দাড়িপাল্লা ব্যবহার করা যেতে পারে। মাংস সমান তিন ভাগ করার পর এক ভাগ গরিব-দুঃখীকে, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে এবং এক ভাগ নিজে খাওয়ার জন্য রাখতে হয়।

কোরবানির গরুর আরেকটি অংশ হচ্ছে চামড়ার টাকা। যাতে গরীর মিসকিনদের হক রয়েছে। কোরবানির মাংস সব সময় নিকটতম আত্মীয় ও আশপাশের গরিব-দুঃখী প্রতিবেশীদের দেওয়া উত্তম।