ঢাকা, শনিবার ৩০, নভেম্বর ২০২৪ ৫:৫৩:৫০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ, ফিরতি ফ্লাইট শুরু রোববার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৪৫ পিএম, ৩০ জুন ২০২৩ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। মিনায় জামারাতে শয়তানের উদ্দেশে পাথর নিক্ষেপের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজই (শুক্রবার) হাজিরা মক্কায় ফিরবেন। আগামী রোববার (২ জুলাই) রাত থেকে হাজিদের নিয়ে ফিরতি ফ্লাইট ছাড়তে শুরু করবে। সোমবার (৩ জুলাই) ভোর ৬টা ৫ মিনিটে হাজিদের নিয়ে ঢাকায় অবতরণ করবে ফ্লাইটটি।

এদিকে হাজিদের সৌদিতে জমজমের পানি না কেনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে হাজিদের বহনকারী তিনটি এয়ারলাইন্স। ঢাকায় হযরত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রত্যেক হাজি ৫ লিটারের জমজমের পানির একটি বক্স পাবেন। ঢাকা ছাড়া চট্টগ্রাম অথবা সিলেট বিমানবন্দরে একইভাবে জমজমের পানি পাবেন হাজিরা।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন হজ করতে সৌদি আরবে গেছেন। এসব হজযাত্রীদের বহন করতে মোট ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে ৩২৫টি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১৮০ জন, সৌদি এয়ারলাইন্স ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী বহন করেছে।

জমজম কূপ হলো মক্কায় মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি কুয়া। ইসলামি বর্ণনা অনুযায়ী, হযরত ইবরাহিম (আ.) তার স্ত্রী হাজেরা ও শিশুপুত্র ইসমাইলকে মরুভূমিতে রেখে আসার পর ইসমাইলের পায়ের আঘাতে এর সৃষ্টি হয়। মসজিদুল হারামে আগত লোকেরা এখান থেকে পানি পান করেন এবং পরিবার আত্মীয় স্বজনের জন্য নিয়ে আসে।


অন্যান্য বছর হাজিদের জন্য বোতলজাত সেই পানি ফ্লাইটে দিয়ে দেওয়া হতো। এবার সেই পানি আগেই থেকে বহন করে বিমানবন্দরে নিয়ে এসেছে এয়ারলাইন্সগুলো। সেজন্য হজযাত্রীদের লাগেজে জমজমের পানি না আনার পরামর্শ দিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো।

তারা জানিয়েছে, হজযাত্রীদের সৌদি পৌঁছানোর সময় ফিরতি ফ্লাইট খালি থাকায় বিমানে জমজমের পানি নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজিদের জন্য জমজমের পানি মজুত রয়েছে। হাজিরা বাংলাদেশে আসলেই তাদের প্রত্যেকে পাঁচ লিটারের জমজমের পানির একটি বক্স দেওয়া হবে।

এয়ারলাইনগুলো জানায়, সৌদি সরকার প্রত্যেক হাজির জন্য ৫ লিটারের জমজমের পানি নির্ধারণ করেছে। তার বেশি আনার সুযোগ নেই। কোনো হাজি লাগেজে জমজমের পানি আনলে সেই লাগেজ সৌদিতেই থেকে যাবে। কিংবা সৌদি বিমানবন্দরে লাগেজ খুলে পানি ফেলে দেওয়ার পর তা বিমানে তুলতে দেবে। একইভাবে অনেক হাজি সৌদি থেকে উট, দুম্বার কাঁচা মাংস ফ্রোজেন করে আনার চেষ্টা করেন। এটিও নিষিদ্ধ।