জুন মাসে নির্যাতনের শিকার ২৬৫ নারী ও কন্যা শিশু
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৮:৩৫ পিএম, ২ জুলাই ২০২৩ রবিবার
ফাইল ছবি
চলতি বছরের জুনে মোট ২৬৫ নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যাসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এরমধ্যে ১৩৯ জন নারী ও ১২৬ জন কন্যা শিশু রয়েছে।
রোববার (২ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২৩ সালের জুন মাসে মোট ২৬৫ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২৬ জন কন্যাসহ ৩৭ জন। যারমধ্যে ৫ জন কন্যাসহ ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আর ২ জন কন্যা শিশুসহ ৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন ৭ জন কন্যা শিশু।
নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, উল্লেখিত সময়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১২ কন্যাসহ মোট ১৫ জন। পাশাপাশি উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে ৭ জন কন্যা শিশু। এরমধ্যে উত্ত্যক্ত করার কারণে আত্মহত্যা করেছে ২ জন কন্যা শিশু। তবে এসময় কোনো নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেনি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জুনে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৮ জন। এর মধ্যে ১ জন কন্যা শিশু ও ৭ জন নারী রয়েছেন। আর যৌতুকের কারণে হত্যা হয়েছেন ৫ জন নারী। আর ২৯ জন শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ১১ কন্যা শিশু রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ১ জন কন্যাসহ ৪ জন। তাদের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ১ গৃহকর্মী নির্যাতন ও ১ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে বিভিন্ন কারণে ৭ জন কন্যাসহ ৫০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ৭ জন কন্যাসহ ২০ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আর ১০ জন কন্যাসহ ১৯ জন আত্মহত্যা করেছে। যারমধ্যে ১ জন নারী আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন। আর ১০ জন কন্যাসহ ১১ জনকে অপহরণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শুধুমাত্র জুন মাসে ৩ জন নারী ও কন্যা সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। এ সময় বাল্য বিবাহের চেষ্টা হয়ে ৫টি। বাল্যবিবাহ হয়েছে ১টি। ফতোয়ার শিকার হয়েছেন ২ জন নারী ও কন্যা শিশু। এছাড়াও ১৪ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। যার মধ্যে ৮ জন নারী ও ৬ জন কন্যা শিশু রয়েছে।