ঢাকা, শুক্রবার ১৫, নভেম্বর ২০২৪ ২১:৩১:২১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ দিনের রেকর্ড

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:১১ পিএম, ৫ জুলাই ২০২৩ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

গড় তাপমাত্রায় পৃথিবীর ইতিহাসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার (৩ জুলাই) গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৬২ দশমিক ৬২ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছুঁয়ে এই রেকর্ড গড়ে।

এর আগের রেকর্ড ছিল ১৬ দশমিক ৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৬ সালের আগস্টের একদিনে এই তাপমাত্রা দেখা দেখা গিয়েছিল।

ইউএস ন্যাশনাল সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল প্রেডিকশন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।     

ইউএস ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) এর সাথে সংযুক্ত একটি সংস্থার মাধ্যমে ৩ জুলাই গ্রহের পৃষ্ঠের বায়ুর গড় দৈনিক তাপমাত্রা ১৭.০১ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

জলবায়ু বিজ্ঞানী ফ্রিডেরিক অটো বলেছেন, এটি উদযাপন করার মতো কোনো রেকর্ড নয়। তাপমাত্রার এই রেকর্ড মানুষ ও বাস্তুতন্ত্রের (ইকোসিস্টেম) জন্য ‘মৃত্যুদণ্ড’। খবর বিবিসি বাংলা।

সোমবারের এই পরিমাপটি গত বছরের ২৪ জুলাই সেট করা আগের দৈনিক রেকর্ড (১৬.৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ছাড়িয়ে গেছে।

পৃথিবীর গড় বায়ুর তাপমাত্রা বছরের যে কোনো দিন প্রায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মাত্র ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ওঠানামা করে। ১৯৭৯ থেকে ২০০০ সালের জুলাইয়ের শুরুতে এই গড় উষ্ণতা ছিল ১৬.২ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রেকর্ডটি এখনও অন্যান্য পরিমাপের দ্বারা নিশ্চিত করা হয়নি, তবে উত্তর গোলার্ধের গ্রীষ্ম শুরু হওয়ার সাথে সাথে শীঘ্রই এই রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে।

গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা সাধারণত জুলাইয়ের শেষ বা আগস্টের শুরু পর্যন্ত বাড়তে থাকে।

সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র তাপ দেখা গেছে। চীনে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপপ্রবাহ রয়েছে। উত্তর আফ্রিকায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রা।

অ্যান্টার্কটিকায় শীতকাল চলছে। সেখানেও অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। শীতল মহাদেশটির আর্জেন্টিনা দ্বীপপুঞ্জে তাপমাত্রা রেকর্ড ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে।

বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমন কমছে না। ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে। আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে তাপমাত্রা। প্রায় এক দশক ধরে বৈশ্বিক উষ্ণতা ঊর্ধ্বমুখী। পৃথিবীর তাপমাত্রা দীর্ঘমেয়াদিভাবে বাড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকে দায়ী করেন জলবায়ুবিশেষজ্ঞরা।