বিপৎসীমার ওপরে দক্ষিণের ৬ নদীর পানি
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:৩১ এএম, ৬ জুলাই ২০২৩ বৃহস্পতিবার
সংগৃহীত ছবি
বরিশাল বিভাগের ছয়টি নদীর পানি সকাল থেকে বিভিন্ন সময়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, পূর্ণিমা ও উজানের পানির চাপে বেশকিছু নদীর পানি বেড়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যার কোন প্রভাব নেই। নদ-নদীর যে পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তা মৌসুমের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। এ অঞ্চলের নদীর গভীরতা ও প্রস্থ বড় হওয়ায় এর পানি ধারণক্ষমতা বেশি।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া ওয়াটার লেভেলের তথ্য অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৬ টায় বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া বিকেল সাড়ে ৪ টায় ভোলার দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও বেলা সাড়ে ৩টায় তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং বিকেল সাড়ে ৫ টায় ভোলা খেয়া ঘাটের তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ চার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে বুধবার দুপুর দুইটায় বরগুনার বেতাগীর বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে পাথরঘাটার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এদিকে বেলা পৌন ২টার দিকে পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং উমেদপুরের বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এ ছাড়া বরিশালের কীর্তনখোলা, বাকেরগঞ্জের বুড়িশ্বর, উজিরপুর স্বরূপকাঠি, গৌরনদী টরকি, বাবুগঞ্জ, ঝালকাঠির বিশখালী, কাইটপাড়া লোহালিয়া, মির্জাগঞ্জের পায়রা, পিরোজপুর স্বরূপকাঠি, বরগুনার বিশখালী ও আমতলীর বুড়িশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি ও নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ মোট ১৯ নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। বুধবারের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে করে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেলেও তা ভাটায় আবার পানি নেমে যাবে।