ঢাকা, শুক্রবার ১৫, নভেম্বর ২০২৪ ৮:২৬:০৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

সাধারণ জ্বর নাকি ডেঙ্গু, বুঝবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪১ এএম, ১৮ জুলাই ২০২৩ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

আশেপাশে প্রচুর মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গু ভাইরাসের মাধ্যমে এই রোগের উৎপত্তি। স্ত্রী এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়। সাধারণত, ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ালে ৩-১৩ দিনের মধ্যে সেই ব্যক্তি জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন।

তবে জ্বর হলেই তাকে ডেঙ্গু জ্বর ভাবা যাবে না। এর আলাদা কিছু লক্ষণ রয়েছে। এসব লক্ষণ দেখা দিলেই বুঝতে হবে সাধারণ জ্বর নয় বরং ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন আপনি। চলুন ক্যাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ জেনে নিই-

ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং একইসঙ্গে সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা থাকে। জ্বর ১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে তীব্র পেটব্যথা। 

ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি এবং মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা হয়। মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথাও অনুভূত হয়। 

জ্বর হওয়ার ৪ থেকে ৫ দিনের সময় সারা শরীরজুড়ে লালচে দানা দেখা যায়। একে স্কিন র‍্যাশ বলে। এটি অনেকটা এলার্জি বা ঘামাচির মতো।

ডেঙ্গু হলে বমি বমি ভাব হয়। কিছুক্ষেত্রে বমিও হতে পারে। রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করে। খাবারের রুচি কমে যায়।


ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর

রোগীর এই অবস্থাটি সবচেয়ে জটিল। এই জ্বরে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গের পাশাপাশি আরও সমস্যা দেখা দেয়। যেমন-

শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তপাত। যেমন- চামড়ার নিচে, নাক ও মুখ দিয়ে, মাড়ি ও দাঁত হতে, কফের সঙ্গে, রক্তবমি, পায়খানার সঙ্গে তাজা রক্ত বা কালো পায়খানা, চোখের মধ্যে এবং চোখের বাইরে, নারীদের বেলায় অসময়ে ঋতুস্রাব অথবা রক্তক্ষরণ শুরু হলে অনেকদিন পর্যন্ত রক্ত পড়তে থাকা ইত্যাদি।


এক্ষেত্রে অনেক সময় বুকে পানি, পেটে পানি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। লিভার আক্রান্ত হয়ে রোগীর জন্ডিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আবার কিডনি আক্রান্ত হয়ে রেনাল ফেইলিউরের মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে।

ডেঙ্গু শক সিনড্রোম

ডেঙ্গু জ্বরের সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ হলো ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরের সঙ্গে সার্কুলেটরি ফেইলিউর হয়ে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হয়। এর কিছু লক্ষণ হলো-

রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়া। এসময় নাড়ীর স্পন্দন অত্যন্ত ক্ষীণ ও দ্রুত হয়ে যায়। শরীরের হাত পা এবং অন্যান্য অংশ ঠান্ডা হয়ে যায়। প্রস্রাব পরিমাণ কমে যায়। 

ঘরে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা নিতে করণীয়-

পর্যাপ্ত বিশ্রাম (জ্বর চলাকালীন এবং জ্বরের পর এক সপ্তাহ) নিতে হবে। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে। যেমন-খাবার স্যালাইন, টাটকা ফলের রস ইত্যাদি।

এছাড়া গ্লুকোজ, ভাতের মাড়, বার্লি, ডাবের পানি, দুধ/হরলিকস, বাসায় তৈরি স্যুপ ইত্যাদি রোগীকে দেওয়া যেতে পারে। 

রক্তপাত হলে কিংবা রক্তচাপ অত্যধিক কমে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।