আইনজীবী বাপ্পী হত্যা: ফাঁসির আসামি রাশেদা গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৪৪ পিএম, ৩০ জুলাই ২০২৩ রবিবার
সংগৃহীত ছবি
চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বাপ্পী হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাশেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব থানায় হস্তান্তর করলে পুলিশ তাকে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।
রোববার সকালে বাকলিয়া এলাকা থেকে রাশেদাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। বিষয়টি সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেন চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার।
রাশেদা বেগম (২৮) কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার উত্তর লক্ষ্যারচর এলাকার মন্ডল পাড়ার জাকির হোসেনের মেয়ে।
ওসি মনজুর কাদের বলেন, রাশেদা বেগমকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা না থাকায় আমরা সংশ্লিষ্টদের পরামর্শে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছি। এরপর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ বিষয়ে মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আবদুর রশীদ বলেন, আসামি রাশেদা আইনজীবী বাপ্পী হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত। তাকে র্যাব গ্রেপ্তার করে সাজা পরোয়ানা না থাকায় আইনি জটিলতা নিয়ে আমার মতামত চেয়েছেন। আমি আসামিকে চকবাজার থানায় হস্তান্তরের জন্য বলেছি। এরপর চকবাজার থানাকে হত্যা মামলার রেফারেন্স উল্লেখ করে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠাতে বলেছি।
এর আগে, গত ২৬ জুলাই চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ জসিম উদ্দীনের আদালত চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় দেন। রায়ে রাশেদা ও হুমায়ুকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছিল। হুমায়ুন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত থাকলেও রাশেদা পলাতক ছিলো।
একই আদেশে অভিযুক্ত পারভেজ আলী, আকবর হোসেন ও আল আমিনের যাবজ্জীবন এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। এই মামলা থেকে জাকির হোসেন প্রকাশ মোল্লা জাকিরকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর নগরীর চকবাজার থানার কে বি আমান আলী রোডের একটি তিন তলা ভবন থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আইনজীবী ওমর ফারুক বাপ্পির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহত আইনজীবীর বাবা আলী আহমদ বাদি হয়ে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর তৎকালীন পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন আদালত। বাপ্পি হত্যা মামলায় মোট ৩২ জন সাক্ষী ছিলেন। আদালত ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। গত ২৬ জুলাই চট্টগ্রাম ৩য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ জসিম উদ্দীনের আদালত চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় দেন।