ঢাকা, শুক্রবার ১৫, নভেম্বর ২০২৪ ৫:৩২:১৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ডায়াবিটিস হলে কি ডিম খাওয়া যায়?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:৩১ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২৩ বৃহস্পতিবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া আর শরীরচর্চা যদি করা যায়, তা হলে ডায়াবিটিস নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ডায়াবেটিকদের বুঝেশুনে খাওয়াদাওয়া করা অত্যন্ত জরুরি। 

অনেকেই বুঝতে পারেন না, ডায়াবিটিস হলে ডিম খাওয়া যায় কি না। উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড, কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে ডিম খাওয়া নিয়ে কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে চিকিৎসকেদের মতে, ডায়াবিটিসের সঙ্গে ডিমের কোনও বিরোধ নেই।

ডিমে রয়েছে ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন, ৭৮ ক্যালোরি, ২৪ মাইক্রোগ্রামস ফোলেট, ২৮ গ্রাম ক্যালশিয়াম। এ ছা়ড়াও আয়রন, জিঙ্কের পরিমাণও কম নয়। ডায়াবেটিকদের সুস্থ থাকতে এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা জরুরি। ডায়াবিটিস থাকলে কার্বোহাইড্রেট বেশি না খাওয়াই ভাল। আর ডিমে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ একেবারে কম। ‘লো কার্ব’ ডায়েটে থাকলে ডিম হতে পারে আদর্শ খাবার। ডায়াবেটিকদের ডায়েটে ডিম থাকলে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ডিম খেতে চান না। ডিম খেলে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ধারণা ভুল। তবে ডিম কী ভাবে খাচ্ছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। ডিম খাওয়ায় ছাড় আছে মানেই রোজ রোজ ভাজা, অমলেট খেলে হবে না। ডায়াবেটিকরা ডিম সেদ্ধ করে খেলে বেশি উপকার পাবেন। এ ছাড়া ডিম দিয়ে স্যালাড বানিয়েও নিতে পারেন। তবে ডিম খেলে শর্করার মাত্রা বাড়বে না ঠিকই। কিন্তু ডায়াবিটিস থাকলে কোলেস্টেরল হওয়ারও একটা আশঙ্কা থাকে। ডিম কিন্তু সেই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। 

‘আমেরিকান ডায়াবিটিস অ্যাসোসিয়েশন’-এর একটি গবেষণা জানাচ্ছে, ডায়াবেটিকরা রোজ একটি করে ডিম খেতে পারেন। তবে এর কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। রোজ খেতেই হবে এমন কোনও মানেও নেই। খেলে কোনও অসুবিধা হবে না। 

ডিম খাওয়ার অন্যতম সুবিধা হল এতে কার্বোহাইড্রেট নেই। বরং ভরপুর প্রোটিন রয়েছে। প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে ডিম অন্যতম ভরসা হতে পারে। তবে দিনে একের বেশি ডিম না খাওয়াই ভাল। তাতে আবার অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ডিম খাওয়ার পরিমাণে রাশ টানতে হবে। 

ডায়াবিটিস থাকলে সব সময় চিকিৎসক কিংবা পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনেই খাওয়াদাওয়া করতে হয়। ডিম খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিজে না নিয়ে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।