ভেঙে ফেলা হচ্ছে দিলীপ কুমারের সুবিশাল বাংলো!
বিনোদন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:৪১ পিএম, ৪ আগস্ট ২০২৩ শুক্রবার
সংগৃহীত ছবি
ভেঙে ফেলা হচ্ছে বলিউডের প্রথম সুপারস্টার দিলীপ কুমারের স্মৃতিবিজড়িত পালি হিলসের বাংলো। এটি ভেঙে তৈরি করা হবে বিলাসবহুল বহুতল ভবন। বছর দুয়েক আগেই সবাইকে কাঁদিয়ে চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন বলিউডের এই কিংবদন্তি অভিনেতা। এমন তথ্যই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বকালের সেরা এই অভিনেতার সুবিশাল বাংলো ভেঙে তৈরি হবে মুম্বাইয়ের অন্যতম চোখ ধাঁধানো বিশাল প্রকল্প। মোট ১ দশমিক ৭৫ লাখ বর্গফুট জায়গায় বিলাসবহুল আবাসিক তৈরিতে মোট বাজেট ৯০০ কোটি রুপি। এই বিলাসবহুল আবাসনটি ১১ তলা হবে বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যেই অভিনেতার পরিবারের পক্ষ থেকে আসার গ্রুপ নামে এক সংস্থার সঙ্গে চুক্তিপত্র সই করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বহুতল এই আবাসিকের একেবারে গ্রাউন্ড ফ্লোরে দিলীপ কুমারের নামে একটি মিউজিয়ামও তৈরি হবে। যেখানে অভিনেতার জীবদ্দশায় ব্যবহৃত পোশাকসহ বহু দুর্মূল্য ছবিও থাকবে। মিউজিয়ামে আগত অতিথিদের জন্য আলাদা প্রবেশদ্বারও থাকছে।
গত গত পাঁচ বছর ধরে দিলীপ কুমারের এই পালি হিলস বাংলোর জমি নিয়ে একটি আইনি জটিলতা চলছে। পরবর্তীতে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন অভিনেতার স্ত্রী সায়রা বানু।
সেসব আইনি জটিলতা কাটিয়ে এবার বিলাসবহুল আবাসিক তৈরি হচ্ছে সেখানে। ইতোমধ্যেই নাকি দিলীপ কুমারের পালি হিলসের বাংলো ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে ১১ তলার বিলাসবহুল আবাসিক।
১৯৫৪ সালে এই জমি কিনে বাংলো তৈরি করেছিলেন দিলীপ কুমার। তখন দাম ছিল মোটে ১ দশমিক ৪ লাখ রুপি।
দিলীপ কুমারের জন্ম ১৯২২ সালে অবিভক্ত ভারতের পেশোয়ারে। বর্তমানে স্থানটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনওয়ার অন্তর্ভুক্ত। তার পারিবারিক নাম ইউসুফ খান, তার মাতৃভাষা হিন্দকো।
১৯৪৩ সালে আওধ মিলিটারি ক্যান্টিনে সে সময়ের প্রখ্যাত নায়িকা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা দেবিকা রানির সঙ্গে পরিচয় তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
দেবিকা রানির ভীষণ ভালো লেগে যায় এই সুদর্শন তরুণকে। তিনি ছিলেন বোম্বে টকিজের অন্যতম মালিক। বোম্বে টকিজের পরবর্তী সিনেমা ‘জোয়ার ভাটা’ মুক্তি পায় ১৯৪৪ সালে। আর সেই সিনেমাতেই রুপালি পর্দায় আবির্ভাব ঘটে দিলীপ কুমারের।
১৯৬৬ সালে বলিউডের আরেক সাড়া জাগানো অভিনেত্রী সায়রা বানুকে বিয়ে করেন দিলীপ কুমার। এই দম্পতির কোনো সন্তান নেই।
দিলীপ কুমার বাংলাদেশে এসেছিলেন নব্বইয়ের দশকে। সে সময় এদেশের ভক্তদের ভালোবাসায় প্লাবিত হন তিনি। তার ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হন এদেশের ভক্তরা।