ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৪০:০২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

সাগর-রুনি হত্যা: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ১০০তম তারিখ আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৭ এএম, ৭ আগস্ট ২০২৩ সোমবার

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি। ফাইল ছবি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি। ফাইল ছবি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের পর পেরিয়েছে সাড়ে ১১ বছর।  এখনও কূল-কিনারা হয়নি আলোচিত এ মামলার। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনও জমা হয়নি। প্রতিবেদন দিতে এরই মধ্যে ৯৯ বার সময় নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। 
আজ সোমবার (৭ আগস্ট) মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। আদালত থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য মতে, এখনো প্রতিবেদন দাখিল হয়নি। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন (৭ আগস্ট) আবারও নতুন দিন ধার্য করা হবে। ফলে প্রতিবেদন দাখিল ১০০ বারের মতো পেছাবে।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা আছে। আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আলমগীর জানান, রোববার পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়নি।
হত্যাকাণ্ডের সাড়ে ১১ বছর পার হয়ে গেছে। দীর্ঘ এই সময়ে আদালত থেকে দফায় দফায় প্রতিবেদন দাখিল করার সময় বেঁধে দেওয়া হলেও হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি পুলিশের এলিট ফোর্স র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরদিন সকালে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন রাতে নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হওয়ার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুনিদের চিহ্নিত করার আশ্বাস দেন। চাঞ্চল্যকর মামলাটির প্রথমে তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম।
২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ডিবি উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলম নতুন করে তদন্তভার নেন। এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ১৮ এপ্রিল তদন্তভার র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন র‍্যাব সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলম।