বান্দরবানে পাহাড় ধস, রুমা-থানচি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:০৯ পিএম, ১২ আগস্ট ২০২৩ শনিবার
ভারি বর্ষণে বান্দরবানে পাহাড় ধস । ছবি: সংগৃহীত
ভারি বর্ষণে বান্দরবানে পাহাড় ধসে চিম্বুক-রুমা-থানচি সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বান্দরবান-থানচি সড়কের মিলনছড়ি থেকে চিম্বুক নীলগিরি পোড়া বাংলা এবং রুমা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার পাহাড় ধসে সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ার এ চিত্র দেখা যায়। গত কয়েকদিনে টানা প্রবল বর্ষণে জেলার অধিকাংশ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, পাহাড় ধসে বান্দরবান-থানচি-রুমা সড়কের মিলনছড়ি এলাকা থেকে শুরু করে চিম্বুক নীলগিরি পোড়া বাংলা এলাকা এবং বান্দরবান-রুমা ও থানচি সড়কের বিভিন্ন এলাকার পাহাড় ধসে সড়ক ভেঙে যায়। এতে বান্দরবান-রুমা-থানচি সড়কে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন বাংলাদেশের (২০ ইসিবি) ওয়ারেন্ট অফিসার রাহুল হাসান পার্থ জানান, বান্দরবান থেকে রুমা, চিম্বুক-নীলগিরি-থানচি সড়কটি দ্রুত যান চলাচল উপযোগী করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, আজ বান্দরবান হতে ওয়াইজংশন পর্যন্ত চলাচলের উপযোগী করা হবে। আগামীকাল আরও কয়েকটি টিম সড়কের কাজে যোগ হবে। চিম্বুক ও নীলগিরি মধ্যবর্তী পোড়া বাংলা এলাকায় প্রায় ১শ মিটার ধসে যাওয়া সড়কে বিকল্প সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
টংগাবতি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইয়াং রুং ম্রো বলেন, রুমা উপজেলার গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ও টংগাবতি ইউনিয়নে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্ত এলাকায় সড়ক ভেঙে গেছে। এ সড়ক ঠিক না হলে চিম্বুক পাহাড় ও আশেপাশের এলাকার প্রায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ দৈনন্দিন কাজে ভোগান্তিতে পড়বে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা রিং ত্লাং বম জানান, পাহাড় ধসের কারণে সড়কে কোনো ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারছে না।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন বলেন, গত ৮ দিন ধরে বান্দরবান জেলায় ভয়াবহ ভারী বর্ষণ ও বন্যায় ১৫ হাজার ৮০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত, ৩ হাজার ৫৭৮টি পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ও ৮ হাজার ২৫৩ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার অন্যান্য উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। শুনেছি বান্দরবান-রুমা, বান্দরবান-থানচি প্রধান সড়কে পাহাড় ধসে রাস্তাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।