যে কারণে হাতিরঝিলের বৈদ্যুতিক টাওয়ারে উঠেছিল সেই নারী
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:১৯ এএম, ১৯ আগস্ট ২০২৩ শনিবার
সংগৃহীত ছবি
রাজধানীর হাতিরঝিলের ওপর দিয়ে যাওয়া এক লাখ ৩৩ হাজার ভোল্টেজের একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ারে উঠে পড়েছিলেন এক নারী। খবর পেয়ে ওই নারীকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। প্রায় দুই ঘণ্টা টাওয়ারে অবস্থানের পর ফায়ার সার্ভিস কথা বলে তাকে নিচে নামিয়ে আনেন। টাওয়ার থেকে নেমে আসার পর একটি ট্রলারে করে তাকে পাড়ে নিয়ে আসা হয়।
শুক্রবার বিকেলে ৪টার দিকে ওই নারী মধুবাগ ব্রিজ থেকে পশ্চিম দিকে ঝিল পাড়ের বৈদ্যুতিক টাওয়ারের উপর উঠে পড়েন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রোজিনা বলেন, ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই নারীকে নামিয়ে আনে। তার নাম খুকুমনি (৫০)। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের কালিরচর। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। পরে ওই নারীকে পুলিশ হেফাজতে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, হাতিরঝিলে বৈদ্যুতিক টাওয়ারে ওঠার কারণ জানালেন খুকুমণি। তিনি জানান, মনের ক্ষোভ ও দুঃখ থেকে টাওয়ারে উঠে বসে ছিলেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, হাতিরঝিলের নিরাপত্তাকর্মীরা প্রায়ই তাকে হেনস্তা এবং মারধর করেন। সেই দুঃখে তিনি টাওয়ারে উঠে বসে ছিলেন।
এত বলার পরও টাওয়ার থেকে না নামার কারণ জানতে চাইলে খুকুমণি বলেন, টাওয়ারে ওঠার কিছুক্ষণ পর হাতিরঝিলের দুই পাশে মানুষ জমে গিয়েছিল। সবাই তাকে দেখছে, এতে বেশ মজা পাচ্ছিলেন তিনি। তাই ঘণ্টাখানেক টাওয়ারের ওপর বসে ছিলেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে হাতিরঝিলের মগবাজার-তেজগাঁও প্রান্তে তাকে দেখতে প্রচুর ভিড় হয়। অনেকেই নানা কৌশলে তাকে ডাকলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ধারণা, ওই নারী সাঁতরে গিয়ে হাতিরঝিলের পানির মধ্যে স্থাপিত ওই টাওয়ারে উঠেছেন।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আওলাদ হোসেন বলেন, দুপুরে তিনি হাতিরঝিলে আসেন। তিনি সেখানে গোসল করেন। এরপর তিনি সাঁতরে হাতিরঝিলের মাঝখানে অবস্থিত একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ারের কাছে চলে যান। ধীরে ধীরে প্রায় ১০০-১৫০ ফুট উঁচু বৈদ্যুতিক টাওয়ারের সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠে যান।
ওসি আরও বলেন, খুকুমনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার ৩ মেয়ে ও ২ ছেলে আছে বলে জানতে পেরেছি। ঈদুল আজহার পর মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে তিনি ভবঘুরে জীবনযাপন করতেন।