আইনজীবীর বাসা থেকে কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৩ বুধবার
সংগৃহীত ছবি
কুষ্টিয়ায় আইনজীবীর ভাড়া বাসা থেকে এক কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে আইনজীবীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবার।
বুধবার (২৩ আগস্ট) কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে আইনজীবীর ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণী কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাতেঘরিয়া গ্রামের মোল্লাপাড়া এলাকার ওহিদুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস তুলি (২২)। তিনি কুষ্টিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করতেন।
অভিযুক্ত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চক দৌলতপুর এলাকার মৃত তক্কেল আলীর ছেলে মাহমুদুল হাসান সুমন। তিনি কুষ্টিয়া জজ আদালতের আইনজীবী। তিনি জিলা স্কুলের সামনের এলাকায় তিনি একটা বাসার তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে পুলিশ আইনজীবী সুমনের বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় জান্নাতুলের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমনের সঙ্গে তুলির প্রেম ছিল। সম্পর্ক থাকাকালীন অবস্থায় গত ১৮ আগস্ট সুমন পারিবারিকভাবে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তুলি মঙ্গলবার বিকেলে সুমনের বাড়িতে যান। পরে বাসা থেকে সন্ধ্যায় তুলির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের বড় বোন জান্নাতুল তাসনিম জানান, তুলি মঙ্গলবার সকালে বাসা থেকে কলেজে যায়। কলেজ ছুটির পরে তুলি আইনজীবীর বাড়িতে যায়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সুমন মোবাইলে কল দিয়ে তার বাসায় যেতে বলেন। পরে আমরা গিয়ে দেখি বোনের মরদেহ নিচতলায় একটি ভ্যানের ওপর রাখা। আমার বোনকে আইনজীবী সুমন ও তার বাসার লোকজন শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
বাড়ির মালিক গোলাম নবী জানান, আগস্টের ১০ তারিখ আইনজীবী সুমন বাসা ভাড়া নেন। গত শুক্রবার তিনি বিয়ে করেন। স্ত্রী নিয়ে ওই বাসাতেই থাকেন। ঘটনার সময় সুমন ও তার স্ত্রী বাসাতে ছিলেন।
এ বিষয়ে আইনজীবী সুমনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, সুমন কুষ্টিয়া জজকোর্টের আইনজীবী। তার ভাড়া বাসা থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে সেখানে আইনজীবীকে পাওয়া যায়নি।