‘বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ১৯৫২-২০২৩’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৫২ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সোমবার
সংগৃহীত ছবি
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান রচিত ‘বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ১৯৫২-২০২৩’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি মিলনায়তনে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইমেরিটাস ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে গ্রন্থের উপর আলোচনায় অংশ নেন সোসাইটির সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মাহফুজা খানম ও কাউন্সিল সদস্য অধ্যাপক ড. আহমেদ আবদুল্লাহ জামাল।
কবি আলো আরজুমান বানুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রন্থটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ইতিবৃত্ত প্রকাশনের পরিচালক জাকিয়া আফরোজ। গ্রন্থটির লেখক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান গ্রন্থ প্রণয়নের উদ্দেশ্য এবং এর বিষয়বস্তুর উপর আলোকপাত করেন।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বইটির আধেয় পাঠকের কাছে এর আবেদন টিকিয়ে রাখবে। কোনো বিষয়ে প্রাথমিক কাজ হলে তার আলোচনা ও সমালোচনার অনেক সুযোগ থাকে। তবে একাডেমিক অঙ্গনে এর একটি গুরুত্বও থাকে। এটির বিভিন্ন অংশ পরবর্তী গবেষকদের অনুসন্ধানের বিষয়বস্তু হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক বলেন, আমরা কোনো গ্রন্থ বিবেচনা করতে গেলে এর গবেষণামূল্য, লেখকের মেধা, কাজের প্রতি তার দায়বদ্ধতা বিবেচনা করি। অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান তার জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এই গবেষণাটি করেছেন। আমরা অনেকসময় দায়বদ্ধতার জায়গা উপেক্ষা করে হালকা বিষয় নিয়ে লিখি। গবেষণায় সিদ্দিকুর রহমান আমাদের পথ দেখালেন।
গ্রন্থের লেখক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ৭০ দশকে জাতির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাকাজ সম্পাদন করেছে। এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাপিডিয়া, মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশের সংস্কৃতির সমীক্ষামালাসহ ২৫০টির বেশি গ্রন্থ এখান থেকে প্রকাশিত হয়েছে এবং অনেক মৌলিক গবেষণাগ্রন্থ সম্পাদনা করেছে। কিন্তু এর নিজস্ব ইতিহাস নিয়ে কোনো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। এশিয়াটিক সোসাইটির সাথে যুক্ত হওয়ার পর আমি অনুভব করলাম এশিয়াটিক সোসাইটির একটি ইতিহাস রচনা করা দরকার। সে দায়বদ্ধতা থেকে আমি কাজটি করার সাহস করি।