ওষুধ ও কর্মী সংকটে ভারতে ১২শিশুসহ ২৪ জনের মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:১৮ এএম, ৩ অক্টোবর ২০২৩ মঙ্গলবার
সংগৃহীত ছবি
ভারতের একটি সরকারি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২জন নবজাতকসহ ২৪ রোগী মারা গেছেন। মহারাষ্ট্রের নান্দেদের শঙ্কররাও চৌহান সরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এজন্য ওষুধ এবং হাসপাতালের কর্মী ঘাটতিকে দায়ী করেছেন ওই হাসপাতালের ডিন। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে। হাসপাতালের ডিন বলছেন, ওষুধ ও হাসপাতালের কর্মীদের অভাবই এ মৃত্যুগুলোর জন্য দায়ী। গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়টি ছেলে শিশু ও ছয়টি মেয়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এদের মধ্যে সাপে কাটা রোগীও ছিলেন।
অনেক কর্মীকে অন্য হাসপাতালে বদলি করায় শঙ্কররাও চৌহান হাসপাতাল কর্মী সংকটে ভুগছে বলেও জানান তিনি। ডিন বলেন, হাফকাইন নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের ওষুধ কেনার কথা ছিল। কিন্তু সেটাও সম্ভব হয়নি। আমরা স্থানীয়ভাবে ওষুধ কিনে রোগীদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
তবে ডিনের দাবি করা ওষুধ সংকটের বিষয়টি অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ পাওয়া যায়। হাসপাতালের তহবিলে ১২ কোটি রুপি রয়েছে। চলতি অর্থ বছরের জন্য আরও ৪ কোটি রুপির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রয়োজন অনুযায়ী রোগীদের সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মারা যাওয়া প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে চারজন হৃদরোগে, একজন বিষক্রিয়ায়, একজন গ্যাস্ট্রিক রোগে, দুইজন কিডনির রোগে, একজন প্রসূতিজনিত জটিলতায় এবং তিনজন দুর্ঘটনাজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এতগুলো মানুষের মৃত্যুকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে কী ঘটেছে তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান মহারাষ্ট্রের মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালক ডা. দিলীপ মহিসকার।
বার্তা সংস্থা পিটিআইকে ডা. দিলীপ মহিসকার বলেন, তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কমিটিকে আগামীকাল বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আমি ব্যক্তিগতভাবে হাসপাতালে যাচ্ছি।
মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা অশোক চৌহান হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে সংবাদিকদের বলেন, এখনও ৭০ জন রোগী গুরুতর অসুস্থ। এখানে সুচিকৎসা ও কর্মীর অভাব রয়েছে। অনেক নার্সকে বদলি করা হয়েছে। অনেক যন্ত্রপাতি কাজ করছে না। হাসপাতালের ধারণক্ষমতা ৫০০, কিন্তু রোগী ভর্তি রয়েছে অন্তত ১২০০ জন। সরকারের উচিত এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা।
এর আগে গত আগস্টে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ হাসপাতালে এক দিনে ১৮ রোগীর মৃত্যূ হয়েছিল। তখনও বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছিল ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার।